০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ফুফুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে কিশোরী গণধর্ষিত, আটক ৫

ফুফুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে কিশোরী গণধর্ষিত, আটক ৫ - নয়া দিগন্ত

পরীক্ষা শেষে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার কিশোরী চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। পরীক্ষা শেষে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হায়দারাবাদ এলাকায়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে অভিযুক্ত তিন ধর্ষকসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- স্থানীয় সোহান রানা, সম্রাট, তপু, মিরাজ ও আলামিন। তাদের সকলের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে।

পূবাইল থানার ওসি মোঃ নাজমুল হক ভূইয়া জানান, গণধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী এ বছর হায়দারাবাদ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষা শেষে তিনি কয়েকদিন আগে পূবাইল থানাধীন হায়দারাবাদ এলাকায় ফুপুর বাড়ি বেড়াতে যান। সেখান থেকে গত ২০ মার্চ ওই কিশোরী হায়দারাবাদ স্কুল মাঠে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক (কনসার্ট) অনুষ্ঠান দেখতে যায়।

তিনি আরো বলেন, অনুষ্ঠান শেষে ফুপুর বাড়ি ফেরার পথে রাত ১০টার দিকে পূর্বপরিচিত মিরাজ স্কুলের অদূরে ভাঙ্গা ব্রিজের পাশে তাকে ডেকে নেয়। পরে সোহান, সম্রাট ও তপু তাকে সেখানে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং অন্যরা তাদের ধর্ষণ কাজে সহযোগিতা করে।

এ ঘটনার পর গত বুধবার ধর্ষিত কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে পূবাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওই রাতে হায়দারাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৫জনকে আটক করে। ধর্ষিত কিশোরী বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরো পড়ুন : স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও ভিডিওধারণ : ধর্ষক গ্রেফতার
শরীয়তপুর সংবাদদাতা, (২১ মার্চ ২০১৯)

শরীয়তপুরের জাজিরায় স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ মামলায় সামসুল হক নামে এক পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদারীপুর র‌্যাব-৮ এর একটি দল বৃহস্পতিবার জাজিরা উপজেলা পরিষদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আসামীকে জাজিরা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর জাজিরা থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করে।

মাদারীপুর র‌্যাব-৮ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার আাক্কেল মাহমুদ মুন্সী কান্দি গ্রামের মৃত আঃ খালেক মুন্সীর ছেলে সামসুল হকসহ ৪ আসামী মিলে এক স্কুলছাত্রীকে স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণ করে ও এই ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী জাজিরা মহর আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।

এ ঘটনার পর ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর আসামী সামসুল হককে র‌্যাব-৮ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় সামসুল হক। এরপর আদালত তার বিরুদ্ধে আবারো গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল জাজিরা উপজেলা পরিষদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় গণধর্ষণ পূর্বক ভিডিও ধারণ মামলার ০১নং আসামী সামসুল হক (৩৪) কে গ্রেফতার করে জাজিরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

জাজিরা থানার ওসি মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement