২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

চার.

আনন্দে চেঁচিয়ে উঠে সুজার পিঠ চাপড়ে দিলো রেজা।
জোসি বলল, ‘এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করা যাবে না।’ ডায়মন্ডহার্টকে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে রেজা-সুজাকে নিয়ে শক্ত জায়গায় চলে এলো সে।
‘কম্বল দরকার,’ রেজা বলল।
থরথর করে কাঁপছে সুজা। ভীষণ শীত থেকে বাঁচার জন্য কুঁকড়ে ফেলেছে শরীর।
‘সবার আগে ওর কাপড় খোলা দরকার,’ জোসি বলল।
‘এই ঠাণ্ডার মধ্যে!’ রেজা অবাক।
‘যা বলছি করো। ভেজা কাপড় তোমার গায়ের উত্তাপ শুষে নিচ্ছে। যত দেরি করবে ততই ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। রেজা, স্লেজে ইমারজেন্সি কিট আছে, জলদি আনো। ওটার মধ্যে স্পেস ব্ল্যাঙ্কেট পাবে। স্পেশাল কম্বল। ওর কাপড়-চোপড় সব খুলে ফেলে গায়ে কম্বল জড়াও। আমি আগুন জ্বালানোর ব্যবস্থা করি।’
সুজার আঙুল অবশ। জিপার, বোতাম, কিছুই খোলার ক্ষমতা নেই। কাপড় খুলতে ওকে সাহায্য করল রেজা। তারপর আলট্রাথিন মেটালিক কম্বল জড়িয়ে দিলো গায়ে।
দাঁতের কাঁপুনি বন্ধ করতে পারছে না সুজা। এর মধ্যেও রসিকতার কথা বলে শীত ভুলে থাকার চেষ্টা করল। হাসল রেজা। ‘কথা বলো না।’
‘না বলে পারছি না তো...।’
বাদামি রঙের একগুচ্ছ ঘাস নিয়ে ফিরল জোসি। একটা সমতল পাথর থেকে বরফ সরিয়ে ঘাসগুলো রাখল তার ওপর।
‘কী ঘাস?’ জানতে চাইল রেজা।
‘মেঠো ইঁদুরের বাসা,’ জোসি বলল। ‘জ্বলে কী রকম দেখো।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement