২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

আটচল্লিশ.
‘সামনে তো আর এগোনো যাবে না বোঝা যাচ্ছে,’ সুজা বলল। ‘কী করবে এখন? গাড়ি ঘোরাবে?’
এমন একটা জায়গায় চলে এসেছে, ঘোরানোটাও আর সহজ নয়, বুঝে গেছে রেজা। এখন কুকুরগুলোকে ঘোরাতে হলে পাতলা বরফে উঠতেই হবে।
‘ইজি, ডায়মন্ড, ইজি!’ মোলায়েম স্বরে আদেশ দিলো জোসি।
দৌড়ানো বাদ দিয়ে হেঁটে চলেছে কুকুরগুলো। চোখে অস্বস্তি। এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে।
‘ইজি, ডায়মন্ড,’ সাবধান করল জোসি।
থেমে গেল ডায়মন্ড হার্ট। চারপাশে তাকাতে লাগল।
‘হাইক! হাইক!’ চিৎকার করে উঠল জোসি। নদীর কিনারের দিকে সরে যেতে চায়।
‘কিছু যদি ঘটে...’ বলতে গেল জোসি।
বন্দুকের গুলি ফোটার মতো শব্দ হলো। ঝট করে ফিরে তাকাল রেজা। স্লেজের ডান পাশের বরফে চওড়া একটা ফাটল চোখে পড়ল। তীরের কাছে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে গেছে কুকুরগুলো। কিন্তু নদীর মাঝখানের পাতলা বরফ স্লেজের ভার সইতে পারছে না।
‘জোসি, কী করব আমরা?’ চেঁচিয়ে উঠল রেজা। ‘নেমে যাবো?’
‘না না!’ চেঁচিয়েই জবাব দিলো জোসি। ‘বসে থাকো, যেভাবে আছো!’
জমাট বাতাসে প্রতিধ্বনি তুলল যেন তীè একটা শব্দ। অনেকটা বন্দুকের গুলির মতো, তবে আরো জোরে। বরফের স্তর ভেঙে গেছে। লাফিয়ে নামল জোসি। রেইল চেপে ধরে স্লেজটাকে আটকানোর চেষ্টা করল।
বরফের ভাঙা স্তরের সঙ্গে সঙ্গে ডান পাশে কাত হয়ে যাচ্ছে স্লেজ। পিছলে নেমে যেতে শুরু করল পানির দিকে।
[বাকি অংশ ২য় পর্বে]


আরো সংবাদ



premium cement