সুপারিশের ফলোআপ করবে দুদক সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি প্রতিরোধ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থায় দুর্নীতি প্রতিরোধে যেসব সুপারিশ করা হয়েছিল তার বাস্তবায়ন কার্যক্রম নিয়ে ফলোআপ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে কমিশনের জনসংযোগ বিভাগ জানায়।
সভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনের বাস্তবায়িত গণশুনানির ওপর এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, ফলোআপ গণশুনানি বাস্তবায়ন করায় গণশুনানি এখন দুর্নীতি প্রতিরোধে অন্যতম কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফলোআপ কার্যক্রম শুরু করার আগে যেসব গণশুনানি হয়েছে, তা ততটা কার্যকর হয়নি। ফলোআপ গণশুনানি বাস্তবায়ন করার মাধ্যমেই এ কর্মসূচি ফলপ্রসূ হয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. মো: মোজাম্মেল হক খান, কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত প্রমুখ। এ সময় কমিশনের সব মহাপরিচালক, পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক আইন অনুসারে কমিশন বিগত চার বছর নিয়মিতভাবে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সরকারের কাছে দুর্নীতি-অনিয়ম প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সুপারিশ পেশ করছে। এ ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় বিদ্যমান দুর্নীতির সম্ভাব্য উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধে বহুমাত্রিক সুপারিশ প্রেরণ করা হচ্ছে। কখনও কখনও বিভিন্ন অনিয়ম চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশনের গঠিত বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক টিমের প্রতিবেদন, বার্ষিক প্রতিবেদন সন্নিবেশিত সুপারিশমালা, দুর্নীতি প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে যেসব প্রতিবেদন, পত্র প্রেরণ করা হচ্ছে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে সাথে দুদকের একজন মহাপরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তা নিয়মিত যোগাযোগ করবেন এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি কমিশনকে রিপোর্ট আকারে অবহিত করবেন।
তিনি বলেন, সাধারণত কমিশনের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধিবিধান, পরিচালন পদ্ধতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকগুলো পর্যবেণ ও বিশ্লেষণ করে ওই প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা, দুর্নীতির সম্ভাব্য উৎস এবং তা প্রতিরোধের নিমিত্ত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশমালা প্রণয়ন করে। কমিশন সর্বোচ্চ শ্রম ও মেধা দিয়ে এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। দুর্নীতি প্রতিরোধে এসব রিপোর্টের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু এগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তার সঠিক চিত্র আমাদের কাছে নেই। হয়তো কিছু কিছু বাস্তবায়ন হচ্ছে আবার কিছু কিছু হচ্ছে না। তাই এগুলো বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি দুদক সচিবের নেতৃত্বে একটি টিম গঠনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এই টিম এক মাসের মধ্যে বিগত চার বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে যেসব পত্র, সুপারিশ পাঠিয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা