২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিতে পাঁচ শিক্ষার্থী আটক

-

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হতে আসা পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জালিয়াতিতে সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকেও আটক করা হয়েছে।
ভর্তি কমিটি সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার বি-১ ইউনিটে ভর্তি সাক্ষাৎকার দিতে এলে পাঁচ ভর্তিচ্ছুকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। আটককৃতরা হলেন বগুড়া জেলার বৃন্দাবন পাড়ার আরিফ খান রাফি, শাহজানপুর উপজেলার মাঝিরা গ্রামের শাকিদুল ইসলাম, রহিমাবাদ গ্রামের আবিদ মুর্শেদ, বটতলার জাহিদ হাসান এবং রংপুর জেলার পাকমোড়ের রিয়াদুল জান্নাত।
তাদেরকে জলিয়াতিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে আটক সামিউল ইসলাম কৌশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আটক পাঁচ ভর্তিচ্ছু বগুড়াভিত্তিক একটি চক্রের সাথে ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকায় চুক্তি করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীও রয়েছে।’ তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের সেট কোডে ওভার রাইটিং করে সবাই ৭৫ নম্বর সেট কোডের প্রশ্নপত্র মোতাবেক বৃত্ত ভরাট করেছিল। সেট কোডের ওভার রাইটিং এবং অভিন্ন সেট কোডে উত্তর এবং প্রাপ্ত নম্বর কাছাকাছি দেখে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের শনাক্ত করে রাখা হয়। ভর্তি হতে এলে জিজ্ঞাসাবাদে এদের মধ্যে তিনজন জালিয়াতির কথা স্বীকার করে।
গত ২৬ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সিলেট নগরীর চারটি পৃথক কেন্দ্র থেকে জালিয়াতির দায়ে বগুড়া থেকে পরীক্ষা দিতে আসা আহসান আলী, ইব্রাহিম খলিল জীবন, মাহমুদুল হাসান, সাদ মো: শাহেল এবং ময়মনসিংহের মোহাইমিনুল ইসলাম খানকে ডিজিটাইল ক্যালকুলেটরেসহ আটক করা হয়েছিল। তারাও ৭৫ নম্বর সেট কোডের প্রশ্নপত্রে উত্তর করেছিল বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: ইশফাকুল হোসেন বলেন, ভর্তি হতে আসা ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement