৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নতুন কমিটি নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পে সংঘর্ষ : চট্টগ্রাম কলেজ রণক্ষেত্র

নয়া দিগন্তের ফটো জার্নালিস্টসহ আহত ৬
চট্টগ্রাম কলেজে কমিটি গঠন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে হাতাহাতি; ইনসেটে আহত নয়া দিগন্তের ফটো সাংবাদিক আখতার হোসাইন : নয়া দিগন্ত -

তিন দশকেরও বেশি সময় পর ঘোষিত চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কলেজ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। উভয় পক্ষের সমর্থকেরা লাঠি, রামদা, হকিস্টিক ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। এ ছাড়া কর্তব্যরত দৈনিক নয়া দিগন্তের চট্টগ্রাম ব্যুরোর ফটো জার্নালিস্ট আখতার হোসাইন মারাত্মক আহত হয়েছেন। তার মুখে ইটের আঘাত লাগে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে।
ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরউদ্দীনের অনুসারীরা বেলা ১১টা থেকে কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভের সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। অপর দিকে ঘোষিত কমিটির সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারীরা কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। এ সময় সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। পরে একজোট হয়ে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলা করে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পদবঞ্চিতরা ক্যাম্পাসের বাইরে সড়কে এবং পদপ্রাপ্তদের অনুসারীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম কলেজ গেট এলাকায় সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক আখতার হোসাইন ইটের আঘাতে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অপর দিকে পদবঞ্চিতরা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখায় আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। নগরীর জামালখান এলাকায় ডা: খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সেন্ট মেরিস স্কুলসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হলে সড়কে পুরোপুরি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ নয়া দিগন্তকে বলেন, পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পাসে কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে তাদের চার-পাঁচজন সমর্থক আহত হয়।
চকবাজার থানার ওসি আবুল কালাম নয়া দিগন্তকে বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিক্ষোভের কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে আমরা গিয়ে সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেছি। এখন পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক।

 


আরো সংবাদ



premium cement