০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


'কালো' প্রিয়াঙ্কাকে মিস ইন্ডিয়া হিসেবে চাননি বিচারক!'

'কালো' প্রিয়াঙ্কাকে মিস ইন্ডিয়া হিসেবে চাননি বিচারক! - ছবি : সংগৃহীত

সদ্য ৩৬ বছরে পা দিলেন। হলিউড-বলিউড সমানতালে সামলাচ্ছেন। আপাতত প্রেমিক নিক জোনাসের সঙ্গে লন্ডনে সময় কাটাচ্ছেন। ফিরে এসেই আবার সালমান খানের সঙ্গে ‘ভারত’-এর শুটিংয়ে যোগ দেবেন। প্রায় প্রতিদিনই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে তার নাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ারের সংখ্যা অনেকের কাছেই ঈর্ষার বিষয়। এহেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নাকি মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ডের জন্য পছন্দ ছিল না এক বিচারকের। নায়িকার গাত্রবর্ণ নিয়ে আপত্তি ছিল তার। যুক্তি ছিল, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মেয়েটা নাকি বড্ড কালো।

কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে অসীম ছাবরার বই ‘প্রিয়াঙ্কা চোপড়া : দ্য ইনক্রেডিবেল স্টোরি অফ আ গ্লোবাল বলিউড স্টার’। সেখানেই এ তথ্য ফাঁস করেন প্রদীপ গুহ নামে এক ব্যক্তি। ১৭ বছরের প্রিয়াঙ্কা যখন উত্তরপ্রদেশ থেকে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন, প্রদীপ তখন প্রতিযোগীদের মেন্টরের দায়িত্বে ছিলেন। সে বছর মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স হয়েছিলেন লারা দত্ত। প্রিয়াঙ্কা হয়েছিলেন মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড। আর এশিয়া প্যাসিফিক সম্মানের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন দিয়া মির্জা।

প্রিয়াঙ্কার মধ্যে প্রতিযোগিতা জেতার সমস্ত গুণ ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই বিচারকের তাঁকে পছন্দ ছিল না। কারণ তার গায়ের রং কালো ছিল। প্রদীপের দাবি তখন তিনিই, বিচারকের বিরুদ্ধে কথা বলেন। জানান দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মেয়েরা এসেও বিশ্বের মন জয় করছে। সেখানে বিচারক এমন ধারণা রাখেন কেমন করে? এই প্রশ্নের পরই নাকি ওই বিচারক চুপ করে যান।

যে বছর প্রিয়াঙ্কা মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড হয়েছিলেন, বিচারকের আসনে ছিলেন শাহরুখ খান, জুহি চাওলা, ওয়াহিদা রহমান, মোহম্মদ আজহারউদ্দিনের মতো তারকারা। এদের মধ্যে কে এমন মনোভাব পোষণ করতেন, তা অবশ্য জানাননি প্রদীপ। তবে তিনি জানান, গায়ের রঙের জন্য ওই বছর দ্বিতীয় হননি প্রিয়াঙ্কা। প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত তার ও লারা-র স্কোর একই ছিল। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার মধ্যে জেতার সেই তাগিদ ছিল না। কারণ তিনি তখন জানতেনই না জীবনে কী করতে চান। তবে এখন 'দেশি গার্ল' ভালোভাবেই জানেন, কোন পথে তিনি যেতে চান।

আরো পড়ুন :

স্বপ্ন নিয়ে আসছেন কণা
অভি মঈনুদ্দীন

সাম্প্রতিক সময়ে কণা ও ইমরানের গাওয়া ‘পোড়ামন টু’ সিনেমার ‘ওহে শ্যাম তোমারে আমি নয়নে নয়নে রাখিবো’ গানটি শ্রোতা দর্শকের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। গানটি এখন দেশব্যাপী শ্রোতা দর্শকের মুখে মুখে শোনা যায়। শুধু তাই নয় শুধু এই গানটি শোনার জন্য এবং এর দৃশ্য দেখার জন্যও অনেক দর্শক এখনো সিনেমা হলে রায়হান রাফি পরিচালিত পোড়ামন টু চলচ্চিত্র দেখতে যাচ্ছেন। আবারো নিজের গানের এমন জনপ্রিয়তায় মুগ্ধ কণা। কণা বলেন, শুনেছি শাহ আলম সরকারের লেখা এই গানটির বয়স নাকি ১০০ বছরেরও বেশি। গানটি এতটা জনপ্রিয়তা পাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে গানটি আমাদের গ্রামবাংলার মিষ্টি মধুর সুরের গান। আমার নিজেরই গানটি অনেক প্রিয়, কারণ গানের কথা খুব সুন্দর। মনে হয় এ যেন আমার নিজেরই কথা। মনের অজান্তে প্রায়ই আমি গেয়ে উঠি গানটি। সবার গানটি এতটা ভালো লাগবে ভাবিনি। দর্শক শ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞ যে, তারা গানটি এতটা আপন করে নিয়েছেন।

‘ওহে শ্যাম’ গানটির সুর শাহ আলম সরকারের। নতুন করে সঙ্গীতায়োজন করেছেন সদ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ইমন সাহা। এদিকে শিগগিরই আরটিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে কণার নতুন মিউজিক ভিডিও ‘স্বপ্ন’। বিশ্বকাপ ফুটবলের আগেই গানটির সব কাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্বকাপের কারণে তা ইউটিউবে প্রকাশ থেকে বিরত থাকে। এখন খেলা শেষ। তাই শিগগিরই গানটি ইউটিউবে প্রকাশ পাবে। কণার গাওয়া নতুন গান ‘স্বপ্ন’-এর কথা লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ এবং সুর সঙ্গীত করেছেন শওকত আলী ইমন। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন শাহ আমির খসরু।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে কণার আরো দুটি নতুন গানের লিরিক্যাল ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে। একটি ‘কী ইশারায়’ এবং অন্যটি ‘নিমন্ত্রণ’। কী ইশরায়’ লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন এবং সুর সঙ্গীত করেছেন ইমরান। গানে কণার সহশিল্পীও ইমরান। ‘নিমন্ত্রণ’ গানটি লিখেছেন এন আই বুলবুল এবং সুর সঙ্গীত করেছেন অরণ্য আঁকন। এছাড়া প্রিন্স মাহমুদের লেখা এবং সুর সঙ্গীতে ‘ঘোর’ গানের মিউজিক ভিডিওর কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এতে কণার সহশিল্পী তপু।


আরো সংবাদ



premium cement