২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি পাংখোয়া পাড়া ট্রাইবাল ভিলেজ উদ্বোধন

-

দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখন্ডতাকে কেউ খাটো করে দেখার চেষ্টা করলে দেশের সেনাবাহিনী কোনোভাবেই তা বরদাস্ত করবে না বলে জানিয়েছেন ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি চট্টগ্রাম এডিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান।

তিনি গতকাল রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় পাংখোয়া পাড়া ট্রাইবাল ভিলেজ উদ্বাধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জিওসি বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি হলেও চুক্তি স্বাক্ষরের পরের বছর ৯৮ সাল থেকে একটি পক্ষ শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করে শান্তির পরিবর্তে পাহাড়ে অশান্তি ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি জনগণকে চোখ-কান খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সামনের দিনেও কিছু চক্র, কিছু দুস্কৃতিকারী অবৈধ অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত পাহাড়ের শান্তি বিনষ্ট করতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ এলাকায় সুখ শান্তি সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির পক্ষে। তাই ওইসব গুটি কয়েক দুস্কৃতিকারী কখনোই সফল হবে না।

এর আগে বিলাইছড়ির পাংখোয়া পাড়ায় ট্রাইবাল ভিলেজের উদ্ভোধন করা হয়।
পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতি দেশ-বিদেশে তুলে ধরতে বিলাইছড়ি উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ডের তিনকুনিয়া নামক গ্রামে পাংখোয়া পাড়া ট্রাইবাল ভিলেজ গড়ে তোলা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ রিয়াদ মেহমুদ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি; বিলাইছড়ি জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল শেখ আব্দুল্লাহ, পিএসসি; বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মঙ্গল কুমার চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ান পাংখোয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

জিওসি বলেন, পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা রয়েছে। ১৯৯৭ সালে পাহাড়ে শান্তির জন্য একটি গোষ্ঠীর সাথে সরকারের পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু শান্তিচুক্তির পর থেকে একটি মহল বিরোধীতা করে পাহাড়ে শান্তির বদলে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তারা পার্বত্য অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র বানানোর নামে নানাভাবে সাধারণ পাহাড়ীদের বিভ্রান্ত করছে।

তাই তিনি সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখার আহবান জানান এবং হুশিয়ার করে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলকে যারা আলাদা রাষ্ট্র বানানোর কথা ভাবছে, তারা ভুল ভাবছেন। পার্বত্য অঞ্চলকে কোনোভাবেই, কোনো অবস্থাতেই আলাদা রাষ্ট্র করার সুযোগ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এলাকার সাধারণ মানুষকে কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী, বিপদগামী মানুষের সাথে না থাকার আহবান জানান।

জিওসি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে বহু বছর যাবত কাজ করছে। ১৯৭৬ সাল থেকে শুরু করে শান্তি চুক্তির পর দ্বিতীয় পর্বে কাজ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়ন এ তিনটি উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী কাজ করছে।

তিনি বলেন, শান্তিচুক্তির যে স্পিরিট, যে গভীরতা সেটাকে আমরা অনুধাবন করি। আমরা এটাকে এগিয়ে নিতে চাই। সম্প্রীতি, শান্তির জন্য সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে চাই।

অনুষ্ঠানে পাংখোয়া জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতি রক্ষার্থে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement