চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলতি মৌসুমে বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। উপজেলায় এক হাজার ৪৫০ হেক্টরে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে মাত্র ৯০০ হেক্টরে। বাকি জমিতে বোরো আবাদের সম্ভাবনা কম। এ কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫০০ হেক্টর কম জমিতে বোরো আবাদ হবে।
উপজেলার অনেক এলাকায় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও অনেক কৃষক থেমে নেই বোরো আবাদে। কিন্তু ধানের মূল্য কম হওয়ায় অনেক কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছেন। আবার ফেনী নদী থেকে সেচের ক্ষেত্রে প্রি-পেইড কার্ড চালুতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা আরো হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের রহমতাবাদ গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বোরো চাষাবাদ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মাঠে। তিনি বলেন, গত বছর নিজের ও বর্গাসহ দেড়কানি জমিতে বোরা চাষ করেছি। মহামায়া সেচ প্রকল্প হয়ে দুর্গাপুর হয়ে বয়ে আসা খালটি মজে যাওয়ায় পর আবার খনন করায় এবার পানি পর্যাপ্ত।
কিন্তু তার মতো শত শত কৃষকের দুশ্চিন্তা এখন ধানের দাম বাজারে একদম কম। সরকার ২৬ টাকা মূল্য দিলে ও পাইকাররা দিচ্ছে মাত্র ১৭ টাকা। অন্য দিকে সার কীটনাশক, মজুরি খরচসহ সব মিলিয়ে ধান ঘরে তুলে লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা নেই। তাই এই মাঠের কৃষকরা বোরো চাষ করলেও পার্শ্ববর্তী অনেকেই ঝুঁকি নিতে নারাজ।
জানা গেছে, উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সেচ পাম্প আছে ১৪০টি। মূলত বোরো মৌসুমে সেচ দেয়ার জন্য এসব পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তবে চলতি বোরো মৌসুমে ৭০ শতাংশ সেচ পাম্পই বন্ধ পড়ে আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্রমাগত লোকসানের কারণে ধান আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকরা আগ্রহী না হওয়ায় ভর মৌসুমেও সেচ পাম্প চালু করা হয়নি।
উপজেলার একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বোরো আবাদে আলাদা করে সেচের প্রয়োজন হয়। তাই খরচ বেশি পড়ে। কিন্তু উৎপাদন খরচের তুলনায় ধানের বাজারমূল্য কম হওয়ায় তারা এবার বোরো আবাদ করছেন না বা কমিয়ে দিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টাসহ নানাভাবে বীজ সার ও অন্যান্য সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছি। সরকার ধানের বিষয়ে আরো আন্তরিক উদ্যোগ নিলে কৃষকরা সুফল পেতেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা