২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বুড়িমারী স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি ২৮ কোটি টাকা

-

বুড়িমারী স্থলবন্দরে গত ১৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কম রাজস্ব আয় হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়েকটি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, রাস্তার দূরত্ব, ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনৈক্য, পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকা এবং অতিরিক্ত পরিবহন খরচের জন্য ব্যবসায়ীরা এ পথে পণ্য আমদানিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, বুড়িমারী স্থলবন্দরে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৪ কোটি ৪১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা সেখানে অর্জিত হয়েছে ৭৬ কোটি ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ১২ হাজার টাকা কম আয় হয়েছে। এ দিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা সেখানে আয় হয়েছে ৪০ কোটি ৫৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। নতুন অর্থবছরের প্রথম সাত মাসেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা কম আয় হয়েছে। সব মিলিয়ে এই স্থলবন্দরে গত ১৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
১৯৮৮ সালে ভুটান থেকে পণ্য আমদানির জন্য বুড়িমারী শুল্ক স্টেশন চালু করা হয়। পরবর্তীতে আমদানি ও রফতানি বৃদ্ধি পেলে শুল্ক স্টেশনটি স্থলবন্দরে রূপান্তর করা হয়। বিগত বছরগুলোতে এ পথে ভুটান থেকে পাথর ও কমলা ছাড়াও ভারত থেকে পাথর, কমলা, আপেল, কসমেটিকস, পেঁয়াজ, ভুট্টা, চাল, গম, প্লাইউড, রেজিনসহ উচ্চ শুল্কের বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা হতো। অপর দিকে বাংলাদেশ থেকে ঝুট, ওষুধ, কটন, প্রাণের মালামালসহ বিভিন্ন পণ্য ভারতে রফতানি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বন্দরটি পাথরনির্ভর হয়ে পড়েছে। দুই-একটি পণ্য ছাড়া উচ্চ শুল্কের কোনো পণ্য আসছে না এ বন্দর দিয়ে। এ ছাড়াও এ পথে ডুপলেকস বুক, সিরামিকস, মার্বেল পাথর, মিক্সড কাপড়সহ কয়েকটি উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাজস্ব আয় কম হচ্ছে বলে দাবি বন্দর কর্তৃপক্ষের। ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থার সঙ্কট, খানাখন্দে ভরা সড়ক এবং রাস্তার দূরত্বের কারণে পরিবহন খরচ বেশি পড়ায় আমদানিকারকরা এ পথে পণ্য আমদানিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা মনে করেন ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ, সড়ক প্রশস্ত করণসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধান করে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করলে বন্দরে রাজস্ব আয় বাড়বে।
এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার সুমেন কান্তি চাকমা নয়া দিগন্তকে বলেন, এই বন্দর দিয়ে ৮০ শতাংশ পাথর আসে ভুটান থেকে যার কোনো ডিউটি নেই আর ২০ শতাংশ আসে ভারত থেকে। পাথর ছাড়া উচ্চ শুল্কের কোনো পণ্য এ পথে না আসায় রাজস্ব আয় কম হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement