২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেতাগীতে আমনের বাম্পার ফলন সত্ত্বেও দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

-

বেতাগীতে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন ধানের চাষ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতির পরেও ক্ষেতে পাকা ধান দেখে বাম্পার ফলন আশা করছেন উপজেলার কৃষকরা। সেই সাথে শঙ্কায়ও রয়েছেন ন্যায্যমূল্য নিয়ে।
সরেজমিন উপজেলার বেতাগী পৌর সভা, সদর, বিবিচিনি, হোসনাবাদ, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে মাঠভরা আমন ধান।
একাধিক চাষির সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ফসল ফলাতে পারলেও ন্যায্য দাম নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। গতবারের অভিজ্ঞতার কারণে এ বছরও ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। তাদের দাবি, ধানের সঠিক দাম নিশ্চিত করতে এখন থেকেই সরকারি তৎপরতা শুরু করা হোক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার একটি পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৭০২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। তবে বুলবুলসহ অসময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশ কিছু জমির ফসল ডুবে গেলেও সেগুলো নিয়ে চিন্তিত নয় কৃষি বিভাগ। তাদের দাবি, বন্যায় নিচু জমির ধান ডুবে গেলেও বন্যার স্থায়িত্ব কম থাকায় তেমন একটা ক্ষতি হয়নি আমনের।
এ দিকে চলতি মাসে শুরু হয়েছে ধানা কাটা। বেতাগী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্গাচাষি মো: ফরিদ হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মো: ফিরোজ হাওলাদার (৫০) ও টুকা মিয়া (৫২) জানান, প্রতি বছরের মতো এবারেও তারা নিজেরসহ ৪ থেকে ৫ একর জমি বর্গাচাষ করেন কিন্তু ট্রাক্টর খরচ, শ্রমিকের মজুরি, কীটনাশক, সার, মজুদ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতের ক্রমবর্ধমান খরচের পর ধানের বাজার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা হওয়ায় তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। হোসনাবাদের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে এবং ন্যায্যমূল্য পেলে আমরা সব খরচ পুষিয়ে নিতে পারব।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরেও চলতি মৌসুমে আমন ধানের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা পূরণ হয়ে বাড়তি ফসল হয়েছে। এখন প্রয়োজন কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা। তারা যদি এবারেও উৎপাদিত ধানের সঠিকমূল্য না পায় তা হলে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।’


আরো সংবাদ



premium cement