২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বগুড়ার আদালতে দণ্ডিত প্রকৌশলী চাকরিতে বহাল তবিয়তে

-

বগুড়ার আদালতে দণ্ডিত হওয়ার পরেও চাকরিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এক উপসহকারী প্রকৌশলী। দণ্ডিত ব্যক্তি বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান। আদালতের ‘রায়’কে ব্যক্তিগত মামলার রায় উল্লেখ করে দণ্ডিত মেহেদী বলেছেন, মামলার বাদির সাথে আপস হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই মেহেদী ব্যবসায়িক প্রয়োজনে সদর উপজেলার চাঁদমুহা হরিপুর এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ করেননি। তার বিপরীতে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ব্যাংক এশিয়া বগুড়া শাখার একটি চেক প্রদান করেন মেহেদী হাসান। ওই সালের ১২ জুন পাওনাদার চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে। পরে পাওনাদার রফিকুল ইসলাম লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে টাকা না পেয়ে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় শুনানি শেষে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২১ জুলাই আদালত এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
মামলায় রায়ে বলা হয়, এনআই অ্যাক্টের ১৮৮১ সালের ১৩৮ ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করায় সাজা ও জরিমানা প্রদান করা হয়। জেলা বগুড়ার যুগ্ম দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন চলতি বছরের ২১ জুলাই এ রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২৮ জুলাই মেহেদী হাসান চেকের দাবিকৃত টাকার অর্ধেক চালান মূলে ব্যাংকে জমা দিয়ে ৬ আগস্ট জামিন নিয়েছেন। এ দিকে দণ্ডিত উপসহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা চলছে আদালতে।
দণ্ডিত উপসহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান তার বিরুদ্ধে রায় ও মামলা থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এসব মামলার বাদির সাথে আপস করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement