২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চিতলমারীর ২০ খালে বাঁশের পাটা দিয়ে প্রভাবশালীদের মাছ শিকার

-

চলতি বর্ষা মওসুমে বাগেরহাটের চিতলমারীতে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ২০টি খালে ও বিলে বাঁশের পাটা দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছেন। এভাবে সরকারি জলাশয়ে মাছ শিকারের কারণে খাল-বিলের পানিপ্রবাহে চরম বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নদীতে ঠিকমতো পানি ওঠানামা করতে না পারায় সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় মৎস্য চাষিরা ক্ষোভের সাথে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় তিনটি নদী, ৫০টি খাল ও বেশ কয়েকটি বিল রয়েছে। প্রতি বছর বর্যা মওসুমে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি কমপক্ষে ২০টি খালে ও বিলে বাঁশের পাটা দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে।
মৎস্যচাষি হরেন্দ্রনাথ বাড়ৈ, বিকাশ বাড়ৈ, হরেন্দ্রনাথ রানা, শংকর হালদার ও ভঞ্জন মণ্ডল জানান, প্রতি বছর বর্ষা মওসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা খিলিগাতীর কাটাখালির খাল, সীমানার খাল, রায়গ্রামের নারানখালির খাল, বাঁশতলার খাল, ডুমুরিয়ার দাড়ার খাল, বড় কাটাখালির খাল, বসন্দরী খাল, খড়িয়ার আমতলীর খাল, হরিখালীর খাল, বেন্নবাড়ির খাল, সোনাখালীর খাল, বারাশিয়ার খাল, ঝালডাঙ্গার ডোঙার খাল, পারডুমুরিয়ার নকির খাল, মাঝিবাড়ির খাল ও সিংগা বিলার খালসহ ২০ টি খালে ক্ষমতার প্রভাব ও পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে বাঁশের পাটা দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছেন। সরকারি জলাশয়ে মাছ শিকারের কারণে খাল-বিলের পানিপ্রবাহে চরম বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই নদীতে ঠিকমতো পানি ওঠানামা করতে না পারায় সামান্য বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান রিগান জানান, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সরকারি জলাশয়ে মাছের অবাধ বিচরণে বাধা সৃষ্টিকারী ও মাছের প্রাণনাশকারীদের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুল আলাম জানান, সরকারি জলাশয় থেকে মাছ ধরার অবৈধ উপকরণ উঠিয়ে নিতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এগুলো উঠিয়ে না নিলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement