০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সুনামগঞ্জের জোড়খলা বেড়িবাঁধে সøুইস গেট নেই : হুমকির মুখে বোরো ফসল

দোয়ারাবাজার জোড়খলা আবোড়া বেড়িবাঁধ :নয়া দিগন্ত -

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার জোড়খলা বেড়িবাঁধে সøুইস গেট না থাকায় হুমকিতে পড়েছে বোরো ফসল। সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর মুহিবুর রহমান মানিক সোনালী নূর উচ্চবিদ্যালয় থেকে নূরপুরগামী কানলার হাওরের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ জোড়খলা আবোড়া বেড়িবাঁধের পেটফুলা নামক স্থানে সøুুইচ গেট না থাকায় অন্যান্য বছরের মতো এবারো হুমকির মুখে রয়েছে কয়েক শত হেক্টর বোরো ফসলি জমি।
জানা যায়, বেড়িবাঁধে দীর্ঘ দিন ধরে সøুইস গেট নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। বার বার উপেক্ষিত হাওরের বোরো চাষি এবং এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের সøুইস গেট নির্মাণের দাবিটি আজো আলোর মুখ দেখেনি। আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে প্রতি বছরই শীতের শেষ দিকে জোড়খলা আবোড়া বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। গত বছর সোনাপুর থেকে জোড়খলা হয়ে সুলতানপুর পর্যন্ত ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। কিন্তু ওই বছরই বন্যায় বাঁধে ভাঙন সৃষ্ট হওয়ায় বাঁধটি কোনো কাজে আসেনি হাওরের কৃষকদের। এ বছর একই বাঁধের ভাঙন রোধকল্পে ও পুনরাকৃতিকরণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকা। সøুইস গেট না থাকায় এবারো বাঁধটি আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাওর এলাকার বিরূপ প্রকৃতি এবং ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে পাউবোর নির্মিত বেড়িবাঁধে বার বার ভাঙন সৃষ্ট হওয়ায় বাঁধটি কোনো কাজে আসছে না হাওরের কৃষকদের। উল্টো প্রতি বছর বেড়িবাঁধ ভেঙে বোরো ফসলি জমি ভরাট হয়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে হাওরের বোরো চাষ। বেড়িবাঁধে সøুইস গেট না থাকায় শুধু বোরো ফলসই নয়, আশপাশের পাঁচটি গ্রাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামের প্রধান সড়কগুলো প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি ঢলে উজান থেকে ধেয়ে নেমে আসা খাসিয়া মারা নদীতে সৃষ্ট আগাম বন্যায় বেড়িবাঁধ ভেঙে আশাপাশের গ্রামগুলো প্রতি বছরই প্লাবিত হয়। ফলে বন্যা প্রতিরোধে বাঁধ কাজে না আসায় প্রতি বছরই বাঁধ নির্মাণে এক দিকে সরকারের মোটা অঙ্কের টাকা অপচয় হচ্ছে। অপর দিকে কৃষকসহ হাওরের আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত। এদিকে বার বার বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে বাঁধের আশপাশের জমিতে মাটি সঙ্কুলান না হওয়ায় দেখা দিয়েছে মাটি সঙ্কট। মাটি সঙ্কটের কারণে এবার জোড়খলা আবোড়া বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে এগোচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাওরের মৎস্য খামারি ও বোরো চাষি আব্দুর রহিম বলেন, আমরা দায়সারা বেড়িবাঁধ চাই না। সøুইস গেট না থাকায় প্রতি বছর আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। বোরো ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। হাওরের মৎস্য খামার অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। ইউপি সদস্য আলীনূর ও আব্দুল কাদির বলেন, আমরা বার বার এখানে সøুইস গেট নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি। সøুইস গেট না থাকায় এই বাঁধ আশপাশের এলাকার কোনো কাজে আসছে না। সোনালী নূর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, বেড়িবাঁধে সøুইস গেট না থাকায় বর্ষা মওসুমে আগাম বন্যায় রাস্তাঘাট প্লাবিত থাকে দীর্ঘ দিন।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, জোড়খলা আবোড়া বেড়িবাঁধে সøুইস গেট নির্মাণের বিষয়ে গত বছরই একটি প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এটি এখনো অনুমোদিত হয়নি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে প্রস্তাবনা আকারেই আছে। যে কারণে এবারো বাঁধের পুনর্নির্মাণ কাজ হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement