একটি সেতুর অভাবে ৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ
- রশিদ আনছারী চিলমারী (কুড়িগ্রাম)
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
কুড়িগ্রামের পাঁচগ্রামের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন একটি সেতুর অভাবে। উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের ইসমাইল মৌলভীর বাড়িসংলগ্ন খালে সেতু না থাকায় নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। সাকোঁটির বর্তমানে নড়বড়ে অবস্থা। এর মাঝখানে ও পূর্ব মাথার কাঠের পাতগুলো ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় গ্রামের স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগামী ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। অন্য দিকে ভ্যানগাড়ি, ঠেলাগাড়ি, সাইকেল, মোটরসাইকেলসহ কোনো যানবাহন খাল পারাপার হতে না পারায় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে পারছেন না।
কালপানীবজরা, পশ্চিম কালপানী, সাদুয়াদামার হাট, বগুলাকুড়া, সাতানস্কর মৌজা এলাকার হাজার হাজার মানুষের এ সাঁকো পারাপার ছাড়া কোনো গত্যন্তর নেই। এ গ্রামগুলোর জমি পলিমাটি দ্বারা উর্বর হওয়ায় ধান, পাট, গম, কালাই, সরিষা, মরিচ, রসুন, পেঁয়াজ, বেগুন, মুলা, কপি, আলুর প্রচুর আবাদ হয়ে থাকে। এসব ফসল পার্শ্ববর্তী উলিপুর, কাশিমবাজার ও বজরা হাটে বিক্রি করার জন্য নিতে হাড়ভাঙ্গা কষ্ট করতে হয়। অনেক রাস্তা ঘুরতে হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের কালপানী বজরা মৌজায় ইসমাইল মৌলভীর বাড়িসংলগ্ন বাঁধের অবস্থিত এ সাঁকোটি। সাঁকোটি থেকে পশ্চিমে মাত্র ২২ গজ দূরত্বে চিলমারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তোরাব খন্দকারের বাড়ি। তার স্ত্রী সালমা খাতুন বজরা আলিফিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষিকা। শিক্ষক আবু তালেব খন্দকার, আবদুল মজিদ, আবদুল হাকিম, রেহানা পারভীন, নরুন্নবী মিয়া, রেবতি কুমার সাহাসহ অনেক শিক্ষক এ পথে তাদের কর্মস্থলে যাতায়াত করে থকেন।
এ ব্যাপারে বজরা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম আমিন জানান, এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা