পাকুন্দিয়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফাতেমার চিকিৎসায় সাহায্যের আবেদন
- পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
জন্মের দুই বছরের মাথায় একটি অজ্ঞাত রোগে দুটি চোখের দৃষ্টি হারায় ফাতেমার। কিছুই দেখতে পায় না সে। তার স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংসারে অন্যের ওপর ভর করে মানবেতর জীবনযাপন করছে ফাতেমা। অভাব-অনটনের সংসার। এক বেলা, আধবেলা খেয়ে না খেয়ে ছোট্ট একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করে সে। ইতোমধ্যে বিশটি বছর পার হয়ে গেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়েও হচ্ছে না। কিন্তু এভাবে আর কত? ফাতেমা চায় না মায়ের ওপর বোঝা হয়ে থাকতে। তার একটাই চাওয়া যদি পৃথিবীটাকে একবার দেখতে পেতাম!
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বরাটিয়া গ্রামের মৃত আবদুল মোতালেবের মেয়ে ফাতেমা (২০)। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়েছে। বৃদ্ধ মা-ই তার একমাত্র অন্ধের যষ্টি। মা মোছা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। সেখান থেকে তা দিয়ে কোনোরকমে মেয়েকে নিয়ে জীবনযাবন করছেন তিনি। কয়েক দিন আগে মেয়ের চিকিৎসার জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কিছু টাকা জোগাড় করেন। ওই টাকায় মেয়েকে নিয়ে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে যান। হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, চোখে অস্ত্রোপচার করলে একটি চোখে দেখতে পাবে ফাতেমা। অন্য চোখে একটি কৃত্রিম পাথর বসিয়ে দেয়া হবে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকা লাগবে। ফাতেমার পরিবারের এমন অবস্থা নেই, যা দিয়ে ফাতেমার চোখের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা যায়। তাই বাধ্য হয়ে সমাজের দয়াবান মানুষের কাছে ফাতেমার আকুল আবেদন, তাকে যেন আর্থিক সাহায্য করা হয়। সবার আন্তরিক সহায়তা পেলে ফাতেমা আবার দেখতে পাবে। হাসি ফুটবে দরিদ্র মায়ের মুখে। দু’হাত উঠিয়ে দোয়া করবে দানশীলদের জন্য। যোগাযোগের ঠিকানাÑ ফরিদ উদ্দিন, ০১৯২০০৪৯৭৫০ ও মিজানুর রহমান ০১৬১২৯১১১৯৪।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা