২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়াকেই প্রার্থী চায় বিএনপি

-

‘ফেনীর মেয়ে খালেদা-গর্ব মোদের আলাদা’ এমন অসংখ্য স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হতো ফেনীর প্রত্যন্ত রাজপথ। সময় পাল্টেছে। বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দী। বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বারবার পরাজিত করে চারবার ফেনী-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তাই আসন্ন নির্বাচনে মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে এ আসনে নির্বাচন করতে চায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। গত রোববার ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণার পর থেকে সাধারণ নেতাকর্মীরা এ আসনে দলের প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এ আসনে বিএনপির ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও মামলার বেড়াজালে রাজপথে তাদের উপস্থিতি তেমন দেখা যায় না। তফসিল ঘোষিত হলেও পুলিশি ধরপাকড় এড়াতে বাড়িঘর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নেতাকর্মীরা বলে অভিযোগ তাদের।
তবে এখানকার ভোটারা প্রতীক দেখে ভোট দিতে অভ্যস্ত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এত দিন তারা সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের সবুজ সঙ্কেত পেলেই তারা নির্বাচনী মাঠে নামবেন জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপি থেকে কে প্রার্থী হবেন তা গত রোববার বিকেল পর্যন্ত জানাতে পারেনি স্থানীয় নেতারা। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এক কথা তারা খালেদা জিয়ার আসনে খালেদা জিয়াকেই প্রার্থী হিসেবে চান। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন কিনেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। তিনি ইতঃপূর্বে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে আগ্রহ না দেখালে এ আসনে তৃণমূল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া অনেকটা নিশ্চিত বলে ব্যাপকভাবে শোনা যায়। অপর দিকে বর্তমান এমপি জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার ফেনী-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন। তাকে আওয়ামী লীগ থেকে মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলেও ফেনী-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নাসিম চৌধুরীর দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে শিরীন আখতার বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া এক সময়ের আলোচিত সমালোচিত ফেনী আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল হাজারীও ফেনী-১ আসনসহ অপর দু’টি আসন থেকেও মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে চেয়ারপারসন বেগম খালেজা জিয়ার বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সহধর্মিণী ডা: জোবেদা রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ও ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, তিনি কয়েক দিন আগে ঢাকায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদফতর সম্পাদক বেলাল আহম্মদ ও ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর আহম্মদ মজুমদারের নামও শোনা যাচ্ছে। তবে, এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চাননি। তারা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে যাকে প্রার্থী দেয়া হবে তার পক্ষেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement