২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নাঙ্গলকোট-শ্রীফলিয়া-বাঙ্গড্ডা সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ

নাঙ্গলকোট-শ্রীফলিয়া-বাঙ্গড্ডা সড়কের সর্বত্র এমন খানাখন্দে ভরা। ছবিটি কৈয়া নামক স্থান থেকে তোলা : নয়া দিগন্ত -

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের নাঙ্গলকোট-শ্রীফলিয়া-বাঙ্গড্ডা সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। এলজিইডির নির্মিত প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির সর্বত্র খানাখন্দে ভরা। পথচারী ও যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নাকাল হচ্ছে। চার বছর ধরে সড়কটির এমন অবস্থা বিরাজ করছে। বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় কয়েক হাজার গর্তের কারণে সড়কটি যাতায়াতের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির নাঙ্গলকোট বটতলা থেকে শুরু করে নতুন হরিপুর, নাঙ্গলকোট, ভুলুয়াপাড়া বাংলাবাজার, কাজী জোড়পকুরিয়া, শ্রীফলিয়া বাজার, কৈয়া, ছেহরিয়া, দৌলতপুর ও রামেরবাগ হয়ে বাঙ্গড্ডা দীঘিরপাড় পর্যন্ত খানাখন্দে ভরা। বর্তমানে বর্ষাকাল হওয়ায় খানাখন্দ পানি ও কাদায় একাকার হয়ে আছে। বিশেষ করে ভুলুয়াপাড়া বাংলাবাজার, শ্রীফলিয়া বাজার, কৈয়া, ছেহরিয়া, দৌলতপুর, রামেরবাগ ও বাঙ্গড্ডা এলাকায় সড়কটিতে কয়েক হাজার ছোট-বড় গর্ত দিয়ে যাতায়াতে এলাকাবাসীকে বেশি নাকাল হতে হয়। সড়কটির বেহাল দশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ছাড়া মালবাহী ট্রাক, ট্রাক্টর, পিকআপভ্যানকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হয়। সড়কটি দিয়ে আধঘণ্টার পথ যেতে কখনো এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সড়কটির বেহাল দশায় যানবাহন প্রায় সময়ই নষ্ট হতে দেখা যায়। এলাকাবাসীকে এক রকম বাধ্য হয়ে বিধ্বস্ত সড়কটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকরা চাঁদা তুলে বড় বড় গর্তে ইটের সুরকি ফেলে সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে কয়েকজন চালক জানান।
সড়কটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী ইস্রাফিল খান, কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী ও মোবারক খান জানান, চার বছর ধরে সড়কটির সর্বত্র বেহাল দশায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তারা এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান। সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক শফি আলম, রবিউল হোসেন ও জসিম উদ্দিন জানান, সড়কটির সর্বত্র কয়েক হাজার গর্ত থাকার কারণে যাতায়াতে প্রায়ই অটোরিকশা নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কটির বেহাল দশার কারণে যাত্রীরা যাতায়াত করতে চান না। এতে করে তাদের আয়-রোজগার ব্যাহত হচ্ছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রকৌশলী জাবেদ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে সড়কটি সংস্কারে প্রাক্কলন ব্যয় তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে সড়কটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement