২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ব্রিটেন মৃত এনএইচএস কর্মীদের জন্য পরিবারপ্রতি বরাদ্দ ৬০ হাজার পাউন্ড

ব্রিটেন মৃত এনএইচএস কর্মীদের ৬০ হাজার পাউন্ড - সংগৃহীত

ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে মৃত ও আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে মৃত ডাক্তার, নার্স ও কেয়ারারদের পরিবারপ্রতি ৬০ হাজার পাউন্ড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬৩ লাখ টাকা। এদিকে লকডাউনের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ শর্তে ২ থেকে ৫০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১ হাজার ৯২ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৯ জন। আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৮২জন ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) কর্মী ও ১৬ জন কেয়ারারের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, করোনার রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে সামনের লাইনের কর্মীরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই তাদের পরিবারের জন্য আমাদের দায়িত্ববোধ রয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের যত্ন নিতে সরকার জীবন বীমা স্কিম ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, এনএইচএস ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য জীবন বীমা স্কিমের আওতায় তাদের পরিবারকে ৬০ হাজার পাউন্ড করে প্রদান করবে সরকার।
হ্যানকক আরো বলেন, “প্রিয়জনের ক্ষতির কোনো কিছুই প্রতিস্থাপন করা যায় না, তবে আমরা তাদের শোকে পরিবারের জন্য আমাদের যা কিছু সম্ভব সব করতে চাই।”

এদিকে ব্রিটিশ চ্যান্সেলর (অর্থমন্ত্রী) ঋষি সুনাক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ শর্তে ২ থেকে ৫০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত ঋণ প্রদানের বিশেষ সুবিধা ঘোষণা করেছেন। সোমবার হাউজ অব কমন্সে এই ঘোষণা দেন তিনি ।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে অর্থ বরাদ্ধ দিতে সরকার ১০০% গ্যারান্টি সমর্থন দিবে বলে জানিয়েছেন। শর্তের মধ্যে রয়েছে ঋণ গ্রহণের পর এক বছর সরকার উক্ত অর্থের সুদ পরিশোধ করবে।

পার্লামেন্টে তিনি বলেন, “আমরা যদি আমাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার সাথে সাথে তাদের গতিশীলতা এবং উদ্যোক্তা মনোভাব থেকে উপকৃত হতে চাই তবে তাদের এই সঙ্কট পাড়ি দিতে অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন হবে।
চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক হাউস অফ কমন্সকে জানিয়েছেন, এই প্রকল্পটি আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। স্কিমটির জন্য অনলাইনে দুই পৃষ্ঠার সেল্ফ সার্টিফিশন ফর্ম পূরণ করা প্রয়োজন হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ বিলম্বের কারণে সরকার এই স্কিম চালু করছে। অনেক ব্যাংক বেশি কাজের চাপে প্রয়োজনীয় ক্রেডিট চেক না করতে পারায় অনেকেই ঋণ পাচ্ছেন না।


আরো সংবাদ



premium cement