হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া জাহিদুর রহমান খোকন (৫৪) নামে এক ব্যক্তির লাশের কাছে আসেনি আত্মীয় ও স্বজনেরা। লাশ দাফনেও বাধা দেয় এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকজন। কিন্তু কেউ লাশ দাফনে এগিয়ে না এলেও খবর পেয়ে এগিয়ে যায় শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ।
গত ২৭ জুন শনিবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হোসেনের নির্দেশে তদন্ত ওসি আল মামুনের নেতৃত্বে এসআই ওয়াদুদ খন্দকার, এসআই রাজিব সরকার ও এএসআই জসিম উদ্দিনসহ পুলিশের একটি টিম ছুঁটে যান ওই গ্রামে। এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে কবর খনন শুরু করেন।
এ সময় ইসলামী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জানাজার নামাজ পড়িয়ে রাত ২টায় স্থানীয় কবরস্থানে ওই ব্যক্তির লাশ দাফন করেন তারা। এ ঘটনায় এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ।
মৃত ব্যক্তি উপজেলার পশ্চিম নুরপুর গ্রামের শেখ দাউদুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
এসআই রাজিব সরকার বলেন, আত্মীয়-স্বজনরা তার কাছে আসেন না এবং গ্রামবাসী লাশ দাফনে বাধা দেয়। আমরা ওই গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে তাদেরকে বুঝিয়ে কবর খনন করে লাশের দাফন-কাফন সম্পন্ন করি।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ সদস্যরা করোনা ভয়কে উপেক্ষা করে লাশ দাফনে ছুটে গিয়েছিলেন তা মানবিক কারণেই। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু এটাই তার দৃষ্টান্ত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা