১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


আজ জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ

-

বড় দলগুলোর বিপক্ষে সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত টি-২০ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তবে ২০২২ সালে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো টি-২০ সিরিজে হারাতে যেভাবে খেলেছিল, সেভাবে আবারো জ¦লে উঠার প্রত্যাশা জিম্বাবুয়ের। ২০০১ সালের পর বাংলাদেশের মাটিতে সাদা বলের ফরম্যাটে কোনো সিরিজ জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। আগামী টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঘরের মাঠে দুই ভেনুতে তাদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচও হবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। তৃতীয় ম্যাচটি হবে বেলা ৩টায়। তবে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াামে খেলবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ ম্যাচটি সন্ধ্যা ৬টায় হলেও শেষ ম্যাচটি হবে সকাল ১০টায়। ২০২২ সালে টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়া নিজেদের সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। তবে ঐ সিরিজ হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাকফুটে আছে বলে মনে করেন না টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ‘এই ফরম্যাটে বড় বা ছোট দল বলে কিছু নেই। তারা উগান্ডার কাছে সিরিজ হেরেছে আবার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। এজন্য এই ফরম্যাটে পার্থক্য খুব বেশি নয়।’

আগামী ১ থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে ক্রিকেটের তৃতীয় বড় মেগা ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত টি-২০ বিশ^কাপ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ছাড়াও চলতি মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনটি টি-২০ খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে এই আট ম্যাচ দিয়েই নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিতে চায় বাংলাদেশ। ফলে এই সিরিজটি বাংলাদেশের প্রস্তুতির বড় মঞ্চ। শান্ত জানান, গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা কিভাবে নিজেদের প্রস্তুত করবো এবং কিভাবে আমরা নিজেদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারবো।
দক্ষিণ পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ের কাছে সর্বশেষ সিরিজ হারলেও, দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০ বারের মোকাবেলায় টাইগাররা ১৩টি জিতেছে এবং ৭টিতে হেরেছে। দলের দুই সেরা তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়াই সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অংশ নিয়েছেন সাকিব। চলতি ইন্ডিয়ার প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মাঝপথে গতকাল দেশে ফিরছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা মোস্তাফিজ। ক্লান্তির বিষয়টি মাথায় রেখে কাটার মাস্টারকে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ খেলাতে রাজি নয় নির্বাচকরা। শান্তর কথায়, আমরা সিরিজ জিততে চাই। এই সিরিজ দিয়ে আমাদের ভুলগুলো বুঝতে পারব এবং ভুল সংশোধন করার জন্য আমাদের সেখানেই বেশি নজর দেয়া উচিত। ১৮ মাস পর সাইফুদ্দিন দলে ফেরায় বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার শক্তিশালী হবে। শান্ত বলেন, টি-২০ ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ হলো লোয়ার অর্ডার জ্বলে ওঠা। আমাদের লোয়ার অর্ডারে রিশাদ, তাসকিন, শরিফুলরা ভালো ব্যাটিং করতে পারে এবং সাইফুদ্দিন যুক্ত হওয়ায় আরো শক্তিশালী হবে।

তিনি যোগ করেন, দলে প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে এবং সেটি ভালোভাবে পালন করা উচিত। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের কোন চাপ ছাড়াই শট খেলার স্বাধীনতা থাকলেও, একই সাথে সবার নির্দিষ্ট দায়িত্বও থাকবে। লোয়ার অর্ডার থেকে একটি চার বা ছক্কা সবসময় উপকারী। অবশ্য এটি খুবই ভালো বিষয়, আমাদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা শট খেলতে পারে। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা বলেন, সিরিজ জিতে দেশে যাওয়াটা হবে দারুণ স্মৃতি। আমরা এখানে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে এসেছি এবং বাংলাদেশে জিততেই এসেছি।
বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদি, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভির ইসলাম, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
জিম্বাবুয়ের দল : সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জঙ্গি, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, এন্সলি এন্দলোভু, রিচার্ড এনগারাভা ও সিন উইলিয়ামস।

 


আরো সংবাদ



premium cement