০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মুক্ত হয়েই বন্দি ছেলের সাথে দেখা করলেন ফারুক আবদুল্লাহ

ছেলের সাথে দেখা করেছেন ফারুক আবদুল্লাহ। - ছবি : সংগৃহীত

শুক্রবার মুক্তি দেয়া হয়েছে জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকে। জনসুরক্ষা আইনে তাকে আটক করে রাখা হয়েছিল। শনিবার ছেলে ওমর আবদুল্লাহর সাথে শ্রীনগরের উপ-সংশোধনাগারে দেখা করেন তিনি।

শুক্রবার মুক্তির পরেই ছেলে ওমর আবদুল্লাহর সাথে দেখা করার জন্য জম্মু ও কাশ্মির প্রশাসনের কাছে অনুমতি চান তিনি। বাবা-ছেলে দুজনকেই সাত মাস আগে আটক করা হয়।

শনিবার শ্রীনগরের বাড়ি থেকে হরি নিবাসে গিয়ে ছেলের সাথে দেখা করেন ফারুক আবদুল্লাহ। দুজনে একে অপরকে উষ্ণ আলিঙ্গন করেন বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআই।

এর আগে নিজের বাবা শেখ আবদুল্লাহর সমাধিস্থলে যান ফারুক আবদুল্লাহ। শ্রীগনরের ডাল লেক সংলগ্ন এলাকায় তার বাবার সমাধি।

শেখ আবদুল্লাহর সমাধিস্থলে যাওয়ার সময় ফারুক আবদুল্লাহর পরণে ছিল কালো কুর্তা, টুপি ও রোদ চশমা, সেখানে তার সাথে শ্রদ্ধা জানান স্ত্রী মইলি এবং নাতি আদিম।

ছাড়া পাওয়ার পরই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ফারুক আবদু্ল্লাহ বলেছিলেন, ‘আমাদের জন্য যারা প্রার্থনা করেছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ’। তবে এও বলেন, ‘মুক্তি সম্পূর্ণ হয়নি’।

জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বর্ষীয়ান এই নেতা বলেন, ‘মুক্তি তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন সমস্ত নেতানেত্রী- ওমর, মেহবুবা, যারা রাজ্যে এবং রাজ্যের বাইরে জেলে রয়েছেন তারা মুক্তি পাবেন। আমার আশা, সরকার খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।’

ছেলের সাথে দেখা করে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের সাথে দেখা করেন ফারুক আবদুল্লাহ। একাধিকবার ফারুক আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতির আটক নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্নবাণ ছুঁড়েছেন গুলাম নবি আজাদ।

গত বছরের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মিরের ৩৭০ ধারা বা বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগেই ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে আটক করা হয়। এখনো হেফাজতেই রয়েছেন ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি। জনসুরক্ষা আইনে ‘সরকারি আইন লঙ্ঘনের’ অভিযোগ আনা হয়েছে ফারুক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে।

সাধারণত এই জনসুরক্ষা আইন কার্যকর করা হয় কোনো উগ্রবাদীর বিরুদ্ধে। এই প্রথমবার এই আইন ব্যবহার করা হয়েছে কোনো মূলধারা রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে সাংসদ এবং সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।

জমসুরক্ষা আইনের আওতায় কোনো ব্যক্তিকে আটক করা হলে কোনো বিচার ছাড়াই তাকে তিন মাস আটক করে রাখা যায়। পরে সেই মেয়াদ আরো বাড়ানো যায়।

৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন উপত্যকার এই বর্ষীয়ান নেতা ফারুক আবদুল্লাহ। তার অভিযোগ, তাকে আটক করা হয়নি বলে সংসদে মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

গত ৬ আগস্ট এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘তারা ধর্মকে ভাগ করেছে, তারা কি হৃদয়কেও ভাগ করবে? তারা হিন্দু ও মুসলিমদের বিভাজন করবে? আমি মনে করি, আমার ভারত সবার। যারা ধর্মনিরপেক্ষ ঐক্যের পক্ষে, তাদের সবার।’

সূত্র : এনডিটিভি

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement