২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পুতিনের টমেটো এবং মোদির তেল কূটনীতি

-

টমেটো গেম
ইদলিব যুদ্ধে তুরস্কের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, রাশিয়া-সিরিয়া জোটের ক্ষতিও ব্যাপক। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তুর্কি সামরিক কনভয় হামলার শিকার হয়ে ১৮ সেনা নিহত হয়েছে। এতে এরদোগান দেশে চাপের মুখে পড়েন। গ্লোবাল সোর্স পার্টনারের বিশ্লেষক আতিল্লা ইয়াজিদা বলেছেন, ‘পুতিন কথা না রাখলেও তুরস্ক তার পেছনেই লেগে আছে।’ তিনি মনে করেন এরদোগান একটি মহাযুদ্ধ শুরু করতে চাচ্ছেন না, রাশিয়া-তুরস্ক সম্পর্ক যেন অটুট রাখতে চান। ‘তুরস্কের টমেটো, সবজি ও ফল এখনো আনাতোলিয়া থেকে মস্কো যাচ্ছে।’ তুরস্কের পণ্যের রাশিয়া বড় ক্রেতা। তুরস্কে রাশিয়ান পর্যটকের সংখ্যাই বেশি। ২০১৮ সালে ৩৯ মিলিয়ন এবং ২০১৯ সালে ৪৫ মিলিয়ন রুশ পর্যটক তুরস্ক ভ্রমণ করায় তুরস্কের মুদ্রা শক্তিশালী হতে শুরু করে। ২০১৫ সালে যখন সিরিয়ায় তুরস্ক দু’টি রাশিয়ান মিগ ভূপাতিত করে তখন মস্কো টমেটো ও সবজি-ফল আমদানি বন্ধ করে দেয়। এই অবরোধের কারণে তুরস্কে রাশিয়ার পর্যটক শূন্যের কোটায় নেমে আসে। ইদলিব যুদ্ধেও পুতিন আবার টমেটোকে রাজনীতির মাঠে গড়িয়ে দিয়েছেন।

এখন রাশিয়ান সীমান্তে তুরস্কের পাঁচ হাজার টন টমেটো পড়ে আছে। আঙ্কারা মনে করে, রাশিয়া আবারো আর্থিক মুষ্টি ঘুরাচ্ছে। এরই মধ্যে টমেটো বোঝাই তুর্কি জাহাজ রাশিয়ার বন্দর থেকে ফেরত দেয়া হয়েছে। তুরস্কের অর্থনীতির কারেন্সি ক্যাশ ফ্লো থেকে ওঠার চেষ্টা করছে। যুবকদের বেকারত্ব এখনো বেশি, ২৫ শতাংশের মতো। তাই তুর্কি নেতা এরদোগান মস্কোর সাথে আরেকটি অর্থনৈতিক যুদ্ধের ঝুঁকি নিতে চান না।

কথায় বলে, রাশিয়ার রাজনীতি বুঝতে হলে টমেটো বাজারকে বুঝতে হয়। রাশিয়া টমেটো ভোক্তা হিসেবে অনন্য। প্রধানত তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মরক্কোর বাজার থেকে রাশিয়া টমেটো আমদানি করে থাকে। রাশিয়াতে ফিবছর কমপক্ষে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের টমেটোর প্রয়োজন পড়ে। টমেটো চাষে পুঁজি কম, টমেটোকে পেস্ট, সস, টিনের কৌটায় সংরক্ষণ, স্যুপ বানানো ইত্যাদি কিছুটা ব্যয়সাধ্য। টমেটো প্রসেসিং করতে বিশ্বে বড় বড় মাত্র কুড়িটি কোম্পানি রয়েছে। মস্কোতে ফি বছর অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুড কনভেনশনে এরা হাজির থাকে, যদিও চীনারা শীর্ষে। মেক্সিকো এবং জর্দানও থাকে। চীন এবং আজারবাইজানও রাশিয়ায় টমেটো রফতানি করে।

মস্কো চাইলে এনার্জি খাতেও চাপ দিতে পারে। তুরস্ক পরমাণু পাওয়ার প্লান্ট বানাতে রাশিয়ার সহায়তায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা ২০২৩ সালে ‘স্ট্রিমিং’ হবে। গ্যাস সরবরাহের জন্য তুরস্ক রাশিয়ান ব্লু স্ট্রিম পাইপলাইন কিনেছে। অনুরূপ আরো দু’টি প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এসব দিয়ে ১৬ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করার কথা। রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের ওপর তুরস্ক ৫২ শতাংশ নির্ভরশীল। এসব প্রকল্প বন্ধ হলে তুরস্ক বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হবে। নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য তুরস্ক রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প অনুসন্ধান করছে। ভূমধ্যসাগরে ও লিবিয়ার উপকূলে তুরস্ক দিন-রাত গ্যাস অনুসন্ধান করছে। সুদানের সাথে গ্যাস অনুসন্ধানে চুক্তি হয়েছে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ইসরাইল জরুরিভাবে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে তার বিমানবাহিনীর ফাইটার সুদানে নামিয়েছে। তুরস্ক নিজের এলএনজি গ্যাস মজুদের অবকাঠামো বহুগুণ বৃদ্ধি করার কাজ শুরু করেছে। সিরিয়ার ইদলিব, আলেপ্পো ও আফরিনে প্রচুর তেল মজুদ রয়েছে। যাদের দখলে তেলকূপ পড়েছে তারা সেখান থেকে প্রতিনিয়ত তেল উত্তোলন করছে। গত বছর তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেকর্ড পরিমাণ এলএনজি আমদানি করেছে। রাশিয়ার সাথে এনার্জি খাতে ভারসাম্য রাখা এর মূল উদ্দেশ্য। তুরস্ক বিশ্বে এনএলজি খাতে দাম পরিশোধ করে থাকে সবচেয়ে বেশি। সমালোচকরা মনে করেন, বড় শক্তিগুলোকে তুষ্ট রাখতে তুরস্কের এই পদক্ষেপ। আঙ্কারাকে মস্কোর সাথে দুই বছরের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কয়েকটি গ্যাস চুক্তি নবায়ন করতে হবে। রাশিয়ার সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আঙ্কারা চুক্তি নবায়নকে ‘পজিটিভ’ দেখছে।

রাশিয়াও তুরস্কের সাথে সম্পর্ক সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে চায়। আবার রাশিয়া নাখোশ হবে এমন কাজ তুরস্ক করতে চায় না। অনেক দেরিতে হলেও তুরস্ক সিরিয়ায় ঢুকে পড়েছে। মস্কো চুক্তির মাধ্যমে টমেটো কূটনীতির ইতি হবে বলে ভাবা হচ্ছে।

পামঅয়েল গেম
পামঅয়েল ব্যবসা থেকে রাজনীতির ভাষায় পরিণত হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মালয়েশিয়ার বিগত প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল আমদানি স্থগিত করেছেন।

মালয়েশিয়ার সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ কাশ্মিরে ভারতের ‘অ্যাকশন’ এবং সিটিজেনশিপ আইন নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। মোদি সরকার পাম তেল ক্রয় না করার নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও মালয়েশিয়া একই অবস্থানে রয়েছে। মাহাথির বলেন, ‘অবশ্যই আমরা শঙ্কিত। আমাদের দেশ ভারতে প্রচুর তেল রফতানি করে। তাই বলে কেউ অন্যায় করল আর আমরা টাকার চিন্তা করলাম, এটা সঠিক নয়।’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন এ কথা।

ভারত মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় পাম তেল আমদানিকারক। মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ পাম তেল উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ, প্রথম ইন্দোনেশিয়া। ভারত মালয়েশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম পাম তেল আমদানিকারক। নয়াদিল্লি সব আমদানিকারককে ‘প্রাইভেটলি’ পণ্য আমদানি করতে নিষেধ করেছে। ভারত প্রয়োজন মেটাতে বেশি দাম দিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে কেনা শুরু করেছে পামঅয়েল। রয়টার্স জানায়, ‘সরকারিভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।’ সমালোচকরা বলছেন, এটা আরো খারাপ কূটনীতি। নাগরিকত্ব বিল, সিএএ প্রসঙ্গে মাহাথির বলেন, ‘নির্যাতিত সংখ্যালঘু তা পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানের হোক না কেন মুসলিম না হলে ভারতে নাগরিকত্ব পাবে, এটি নিপীড়নমূলক।’ ভারতের তেল কূটনীতির প্রতিবাদে মাহাথিরের মিডিয়া উপদেষ্টা এ কাদের জসিম বলেন, ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। মালয়েশিয়ায় যেসব ভারতীয় কাজ করছে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া উচিত।’ দাতুক সেরি কাদির ফেসবুকে বলেন, ‘শত শত বছর ধরে আমরা ভারতীয় অভিবাসীদের জায়গা দিয়েছি। এদের অনেকে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ভারতীয় হাইকমিশনের হিসাব মতে, এক লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় কর্মজীবী প্রবাসী মালয়েশিয়ায় আছেন। ভারত তবুও যখন গেম খেলতে চায় তাদের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। ভারত থেকে যেসব খাবার কিনি সেগুলো এখানে উৎপাদন করার নির্দেশ দিয়েছি।’ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মাইক্রোসফট সিইও সত্য নাদেলা বলেন, ‘আমি খুবই ব্যথিত যে, ধর্মভিত্তিক বিভাজন নিয়ে আমার দেশে আইন তৈরি হয়েছে।’

২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি পূর্বের দেশের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের ‘লুক ইস্ট’ নীতি গ্রহণ করেছেন। তখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নাজিব রাজাক। ২০১৮ সালে মাহাথির সরকার গঠন করেন ও পররাষ্ট্রনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি, কুয়ালালামপুর-কেন্দ্রিক বিশ্ব মুসলিম জোট, ধর্মপ্রচারক ডা: জাকির নায়েককে ভারতের হাতে তুলে না দেয়া, কাশ্মিরের মুসলমানদের পক্ষে অবস্থান নেয়া, সিএএ’র বিরোধিতা করা ছাড়াও জাতিসঙ্ঘে কাশ্মির পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে সমর্থন করে ২৭ সেপ্টেম্বর মাহাথিরের বক্তব্যে ভারতকে ‘আক্রমণকারী’ ও ‘অবরোধকারী’ হিসেবে আখ্যা করা হয়েছে। ভারত ‘পাম তেল তীর’ ছুড়ে দিলে ভারত-মালয়েশিয়ার সুসম্পর্কে ফাটল ধরে।

সম্পর্কোন্নয়নের জন্য মালয়েশিয়া ভারত থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টন কাঁচা চিনি আমদানি করছে। এর মূল্য ৬৬.৪ মিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে, ভারত থেকে ৮৮ হাজার টন কাঁচা চিনি আমদানি করেছিল। ভারত গত বছর মালয়েশিয়া থেকে ৪.৪ মিলিয়ন টন কাঁচা পাম তেল আমদানি করেছে। অর্থ বছরের এ পর্যন্ত মালয়েশিয়া ভারতে রফতানি করেছে ১০.৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য; আমদানি হয়েছে ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বড় চিনি উৎপাদনকারী দেশ। চলতি বছর ভারত রেকর্ড পরিমাণ, অর্থাৎ পাঁচ মিলিয়ন টন চিনি উৎপাদন করতে যাচ্ছে।

উভয় দেশ ২০১০ সালে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট, সিইসিএ, স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় ভারত ট্যাক্স কর্তন করে মালয়েশিয়ার তেল আমদানি ৭২৭ শতাংশে উন্নীত করেছে। এখন এই বিরোধ আরসিইপি নামের পার্টনারশিপের ওপর পড়বে।

অবরোধ অব্যাহত থাকলে রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ বা আরসিইপির উদ্দেশ্য দারুণভাবে ব্যাহত হবে। এর চূড়ান্ত পর্বের আলোচনা থেকে ভারত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। আসিয়ান ১০টি দেশ ও অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া আরসিইপিতে রয়েছে। এ থেকে ভারতের বের হয়ে যাওয়ার কারণ কী? মন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, আরসিইপির বাইরে থেকেও ভারত ভালো ব্যবসা করতে পারবে। গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন পূর্ণতা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামর্থ্যানুসারে কাজ শেষ করা সোজা ব্যাপার নয়। সুরেশ মিথুন মিত্র ইন্ডিয়া ল জার্নালে লিখেছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, সহজভাবে ব্যবসা করা, স্বচ্ছতা, বাজারের ভেতরের বিষয়গুলোতে ঢোকা ইত্যাদি সহজ করতে হবে।

২০ চ্যাপ্টারের প্রকাণ্ড এফটিএ লিখতে সাত বছর চলে গেছে। ২০১২ সালে শুরু হওয়া এফটিএ ভারতকে ছাড়াই সামনে চলতে চায়। বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রসারে আসিয়ান অর্থনীতির সুষ্ঠু প্রবাহ গুরুত্বপূর্ণ। ভারত অবশ্য যেকোনো সময় ফিরে আসতে পারে, স্বাক্ষর করতে পারে। হিসাবে দেখা গেছে- বিশ্ব জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক জিডিপির ৩৯ শতাংশ আরসিইপির অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ভারতকে ছাড়া এর পরিমাণ ৩০ শতাংশ কমে যাবে। যতটুকু জানা যায়, চীনের আধিপত্যের জন্য ভারত সংস্থাকে এড়িয়ে চলতে চায়। মিত্র জোর দিয়ে বলেছেন, এমন একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য ফোরামে ভারতের যোগ দেয়া উচিত।

মাহাথির কাশ্মির নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে দেশটি একা নয়। ভারতকে সেটাও বুঝতে হবে। ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে এত বড় বিষয় চাপিয়ে রাখা সম্ভব নয়। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারও কাশ্মিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমালোচনা করে জরুরি ব্যবস্থা নিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ধর্মীয় বিষয় নিয়েও সঠিক আচরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে শুনানি হয়েছে। সিভিল সোসাইটি দল মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদকে নাৎসিবাদের সাথে তুলনা করেছে। ভারতের ভেতরেও অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। তামিলনাডু কংগ্রেস কমিটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাম তেল আমদানি বন্ধ না করার আহ্বান জানিয়েছে। তারা মনে করেন, তামিলনাডুর হাজার হাজার লোক, যারা মালয়েশিয়ায় কাজ করছেন, তারা রাজনৈতিক সমস্যায় পড়তে পারেন। ভারতীয় কমিউনিটিও বিপদাপন্ন হতে পারে। মাহাথির এই বিরোধকে ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ভারত থেকে চিনি এবং মহিষের গোশত আমদানি বৃদ্ধি করেছেন। উভয়পক্ষ নমনীয় না হলে পরিস্থিতির আশু সমাধান হচ্ছে না।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement