টেস্ট ক্রিকেটে গুরুত্ব¡পূর্ণ মুহূর্তে বারবার ছোট ছোট ভুল না করা এবং এ্যাপ্রোচে পরিবর্তন আনার ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। প্রথম চার দিন সমানে সমান লড়াই করার পরও ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশের ১০ উইকেটের হারের পর এমন মন্তব্য করেন ডোমিঙ্গো।
ঢাকা টেস্ট শেষে ডোমিঙ্গো বলেন, কিছু পরিবর্তন আনতে চাইলে আমরা একটি বা দু’টি ব্যাপার দেখতে পারি। দুই ইনিংসেই যথাক্রমে ২৪ রানে ৫ উইকেট ও ২৩ রানে ৪ উইকেট পতনের পর টেস্ট জয় সম্ভব নয়। আমাদের কিছু পরিবর্তন করতে হবে। গত ৬-৮ মাসে এটি অনেকবার ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চার দিন লড়াই করেছি এবং একটি সেশনে খারাপ করার কারণে ফেরার উপায় ছিল না। আমি নিশ্চিত, এটি খেলোয়াড়দের জন্যও সমান হতাশাজনক। তারা লড়াইয়ে ফিরছে, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ে খেলা থেকে ছিটকে পড়ছে।
তিনি যোগ করেন, শ্রীলঙ্কার ছয় উইকেট পতনের পরও, তারা শেষ পর্যন্ত ড্র (প্রথম টেস্ট) করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০০ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ফেলে। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কিছু ছোট ছোট ভুল করেছি।
২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। ১৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মুশফিক। তবে প্রথম ইনিংসে ৫০৬ রান করে ১৪১ রানের লিড পায় শ্রীলঙ্কা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারো খারাপ ব্যাটিংয়ের কারণে ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ফলে মাত্র ২৯ রানের টার্গেট পেয়ে সহজেই স্পর্শ করে ফেলে তারা।
দুই ইনিংসে ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরও বোলারদের দোষ দিচ্ছেন ডোমিঙ্গো। তার মতে, যেভাবে বোলিং করা উচিত সেভাবে বল করেনি বোলাররা। উইকেট ৫০০ করার মতো ছিল না, কিন্তু বাংলাদেশের খারাপ বোলিংয়ের কারণে বড় স্কোর করতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা, আমরা এবাদত, শরিফুল, তাসকিন ও মিরাজকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতেছি। এই টেস্টে আমরা শুধু এবাদতকে পেয়েছি। যেভাবে করা উচিত ছিল, সম্ভবত সেভাবে করতে পারিনি। কোচ হিসেবে আমার ক্যারিয়ারে আমি কখনও দেখিনি মিড উইকেট ও ফাইন লেগে এত রান হতে পারে। তাদের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি। এমন ছোট বিষয়গুলো ম্যাচের চিত্র বদলে দিয়েছে। বদলি হিসেবে নামা মোসাদ্দেক অফস্পিনার হিসেবে ভালো করতে পারেননি। ইনজুরির কারণে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েন মিরাজ। তাকে হারানোটা বড় ক্ষতি ছিল।
ডোমিঙ্গোর মতে, ওয়ানডেতে আমাদের অনেক অফস্পিনার আছে। টি-টোয়েন্টি স্পিনার মাহেদির কথা বলছি। তারা ব্যাটার, যারা পার্টটাইম স্পিনও করতে পারে। কিন্তু মিরাজ-নাঈমের জায়গায় খেলতে পারে এমন অফস্পিনার নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা