১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


বিশ্বকাপে টাইগার স্কোয়াডে কারা থাকছেন!

-

টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের দামামা বাজতে শুরু করেছে। বিশ দলের বিশ্বকাপে কিউইরা কেন উইলিয়ামসনকে অধিনায়ক করে প্রথম দল হিসেবে জানিয়েছে কারা তাদের স্বপ্নসারথি। উইলিয়ামসন ষষ্ঠবারের মতো টি-২০-এর মেগা আসরে অংশ নিতে যাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে এটি হবে তার চতুর্থ বিশ্বকাপ। অবশ্য উইলিয়ামসনের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ। তবে অটোচয়েজ হিসেবেই থাকবেন সেরা ১৫ জনের দলে। ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপে ছিলেন। আট আসর পেরিয়ে নবম আসরেও থাকছে তার নাম। সব ক’টি আসরে খেলা একমাত্র বাংলাদেশী ক্রিকেটার হতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান।
তার মতো আরো একজন এই তালিকায় রয়েছেন। তিনি হলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপের সব ক’টি আসরে খেলা অনন্য রেকর্ডবুকে থাকবেন রোহিত, সাকিব দু’জনই। বাংলাদেশকে দল ঘোষণা করতে হবে দুই দিনের ভেতরেই। আইসিসির বেঁধে দেয়া সূচি অনুযায়ী, ১ মে’র মধ্যে বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করতে হবে। এরপর ২৫ মে’র মধ্যে স্কোয়াডে পরিবর্তন করা যাবে কোনো কারণ ছাড়াই।
সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থাকলেও মাঠে নামার আগেই বিশ্বকাপের দল দিতে হবে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন টি-২০-এর জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন তারা। যে দলে নেই সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। অবশ্য তারা যে থাকবেন তা পুরোপুরি নিশ্চিত। তাহলে ঘোষিত দল থেকেই দু’জনকে বাদ পড়তে হবে। এছাড়া প্রাথমিক ক্যাম্পে থাকা সৌম্য সরকার ও হাসান মাহমুদ বিবেচনায় আছেন। এর বাইরে নতুন কারো আসার তেমন সুযোগ নেই। এটা নিশ্চিতই বলা যায়।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন টি-২০ জন্য যে ১৫ জনের স্কোয়াড দিয়েছে বিসিবি সেখানে কেবল তিন পরিবর্তন এনে বিশ্বকাপের দল দেবে বিসিবি। সাকিব, মোস্তাফিজ ও সৌম্য থাকবেন। বাদ পড়বেন তানভীর, আফিফ ও ইমন বা তানজিদ। এর বাইরে খুব একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় সৌম্য সরকারকে প্রথম তিন টি-২০তে রাখা হয়নি। তবে বিশ্বকাপ বিবেচনায় তিনি পুরোদমেই আছেন। সে ক্ষেত্রে স্কোয়াডে থাকা তিন ওপেনারের একজনকে বাদ পড়তে হবে। লিটনের সাথে তানজিদ হাসান তামিমকে প্রথমবার টি-২০তে ডাকা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা লিগে ভালো করায় ফেরানো হয়েছে পারভেজ হোসেন ইমনকে। সৌম্যকে বিশ্বকাপ দলে রাখতে হলে তানজিদ বা ইমন- এ দু’জনের একজনেক বাদ পড়তে হবে। এ ছাড়া আফিফ হোসেনকে প্রথম তিন টি-২০তে সাকিবের বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। সাকিব ফিরলে তার বিশ্বকাপ দলে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের স্কোয়াডে সাইফউদ্দিনকে নিয়ে রয়েছেন চার পেসার- তাসকিন, শরিফুল, তানজিম। মোস্তাফিজ দলে ঢুকলে পেসার বাড়বে আরো একজন। সে ক্ষেত্রে স্কোয়াডে থাকা একজন পেসার কমিয়ে মোস্তাফিজকে নেয়া হবে নাকি কোনো স্পিনারকে বাদ দিয়ে পেসার বাড়ানো হবে তা দেখার বিষয়।
শেখ মাহেদীর সাথে স্কোয়াডে আছেন রিশাদ হোসেন ও তানভীর ইসলাম। মাহেদী ও রিশাদ টি-২০তে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন। সাকিব ফিরলে বাঁহাতি স্পিনারের অভাব পূরণ হয়। সেক্ষেত্রে তানবীরের বিশ্বকাপের একাদশে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে। সেই সিরিজে একাধিক খেলোয়াড় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারে। কারণ, ২৫ মে’র মধ্যে ঘোষিত স্কোয়াডে কোনো কারণ ছাড়াই পরিবর্তন আনা যাবে। তাই শুরুর স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেও পরে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement