২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে কুমিল্লার হাসি

-

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচটি লো-স্কোরিং হলেও উত্তেজনা ছিল কুমিল্লার ইনিংসের শুরু থেকেই। একের পর এক উইকেট থতুলে নিয়ে কুমিল্লাকে চেপে ধরেছিল সিলেট। তবে শেষ হাসি হেসেছে কুমিল্লাই। অষ্টম আসরের তৃতীয় ম্যাচে সানরাইজার্সকে দুই উইকেটে হারিয়েছে ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথমে ব্যাট করে ৯৬ রানে অলআউট হয় সিলেট। জবাবে আট উইকেটে ৯৭ রান করে ম্যাচ জিতে কুমিল্লা।
টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। সিলেটের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও দক্ষিণ আফ্রিকার কলিন ইনগ্রাম প্রথম ১৬ বলে মাত্র সাত রান নিতে পারেন। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে এনামুলকে (৩) ফিরিয়ে কুমিল্লাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন অফ-স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। ষষ্ঠ ওভারে শহিদুলের তৃতীয় ডেলিভারিতে চার মারার পরের বলেই বিদায় নেন ইনগ্রাম (২০)। এরপরই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। দলীয় ৬৫ রানের মাঝে মিঠুন ৫, অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ৩, অলক কাপালি ৬ ও মুক্তার আলি খালি হাতে ফিরেন। মধ্যে ইংল্যান্ডের রবি বোপারা ১৯ বলে ১৭ রান করেন তিনি। শেষ দিকে সোহাগ গাজীর ১২ ও কেসরিক উইলিয়ামসের ৯ রানের সাথে পুরো ইনিংসে অতিরিক্ত ১৯ রানের পরও সিলেটের দলীয় স্কোর তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারেনি। ১৯.১ ওভারে ৯৬ রানে অলআউট হয় সিলেট। কুমিল্লার নাহিদুল, মোস্তাফিজ ও শহিদুল দু’টি করে উইকেট নেন।
জবাবে খেলতে নেমে চতুর্থ ওভারে সোহাগ গাজীর বলে ফাফ ডু প্লেসিকে দুই রানে হারায় কুমিল্লা। শুরুর ধাক্কাটা সামলে উঠলেও, কুমিল্লার টপ-অর্ডারের কোনো ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ক্যামেরুন ডেলপোর্ট ১৬, মোমিনুল হক ১৫ ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১০ রান করেন। চার রানের বেশি করতে পারেননি আরিফুল হক। একপর্যায়ে ৫৫ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় কুমিল্লা। এতে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল সিলেট। তবে ষষ্ঠ উইকেটে নাহিদুল ও আফগানিস্তানের করিম জানাত ২৭ রান করলে স্বপ্নে কিছুটা ভাটা পড়ে সিলেটের।
জানাতকে (১৮) আউট করে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। পরের দুই ওভারে নাহিদুল (১৬) ও শহিদুলকে (১) থামান স্পিনার নাজমুল ইসলাম। এতে ৮৮ রানে কুমিল্লা অষ্টম উইকেট হারায়। শেষ ২১ বলে দুই উইকেটে হাতে নিয়ে ৯ রানের দরকার পড়ে কুমিল্লার। উইকেটে থাকা মাহিদুল ও তানভীর পরের ৯ বলে তিন রান করেন। এতে শেষ দুই ওভারে ছয় রানের দরকার হলে ১৯তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেসরিক উইলিয়ামসের করা প্রথম চার বলে চার রান নেন অংকন-তানভীর। এরপর দুই ওয়াইড দিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন সিলেটের উইলিয়ামসই। সিলেটের নাজমুল ১৭ রানে তিন উইকেট নেন। দু’টি করে উইকেট নেন সোহাগ ও মোসাদ্দেক।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস জানান, বাজে পারফরম্যান্সে ব্যাটারদের দায় দেয়ার পাশাপাশি পিচের সমালোচনাও করেছেন, ‘দলগত খেলাটা খেলতে পারিনি। তারা খুব ভালো বোলিং করেছে। উইকেট বেশ কঠিন ছিল।’ এ উইকেটকে টি-২০ ক্রিকেটের মতো বলে মনে হয়নি সিলেটের উইকেটরক্ষক ব্যাটার এনামুল হক বিজয়ের।


আরো সংবাদ



premium cement