১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


উৎসবের মধ্যেও অপূর্ণতা

-

বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) অষ্টম আসরের পর্দা উঠবে ২১ জানুয়ারি। ফাইনাল ১৮ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামে হবে বিপিএলের ম্যাচগুলো। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৩৪টি। ইতোমধ্যে চূড়ান্ত সূচি এবং অনুশীলন সূচি প্রকাশ করেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। শেরেবাংলা অ্যাকাডেমি মাঠে একসাথে অনুশীলন করছে ছয়টি দল। অনেক বিদেশী চলে এসেছে নিজ নিজ দলে। একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারছেন। এমন উৎসবের মধ্যেও রয়েছে কিছু অপূর্ণতা। ৭টি আসর পার করে এলেও বিপিএলে খুঁজে পায়নি শক্ত ভিত। প্রতিবারই জোড়াতালি, আক্ষেপ আর অতৃপ্তি নিয়ে শুরু হয়। এবারো ব্যত্যয় হচ্ছে না। এবার যেন বিপিএলটাই আছে, ভেতরই সবই ফাঁকা!
ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে লাভজনক এই আসরে নিজস্ব প্রাকটিস সুবিধা নেই কোনো দলেরই। তাই অ্যাকাডেমি মাঠ গিজগিজ করে ক্রিকেটার-কোচিং স্টাফে। অনুশীলনের সময়টা ভীতি ছড়ায় চারপাশে, যদি বল এসে লাগে কারো মাথায়। সামনা সামনি সবার মেলামেশায় আনন্দে মেতে থাকেন সবাই। নতুন হেয়ারস্টাইলের মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অ্যাকাডেমি মাঠে দেখে অনেকেই হিন্দি সিনেমার ‘গজিনি’ বলে চিৎকার করে ওঠেন। ঢাকা দলের মাশরাফি উচ্ছ্বাসে জড়িয়ে ধরেন খুলনার মুশফিককে।
উদ্বাত্ত মেলামেশা এবং নিঃস্বার্থের আরো একটি নমুনা দেখা গেল, ঢাকার তামিম ইকবালকে ফুটওয়ার্ক নিয়ে হাতে-কলমে কী যেন দেখাচ্ছিলেন কুমিল্লার হেড কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। মাঠে একেকটা আড্ডার দৃশ্য দেখে বোঝা মুশকিল কে কোন দলের। তামিমকে ফুটওয়ার্ক-সংক্রান্ত পরামর্শ দেয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই সতর্ক সালাউদ্দিন জানালেন, ‘আমাদের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আজ অনুশীলন ছিল না। এমনিতেই মাঠে গিয়েছিলাম। তামিম একটা ব্যাপার জানতে চেয়েছিল, একজন কোচ হিসেবে বিষয়টি দেখেছি। যে কোনো কোচই এটা করতেন।’
যোগ করেন সালাউদ্দিন, ‘দলের প্রাকটিস নিয়মিত শুরু হলে, বিশেষ করে টুর্নামেন্ট শুরু হলে আমার ড্রেসিংরুমের বাইরে কোনো কাজ করব না। টুর্নামেন্ট শেষ হলে আবার আমার দরজা খোলা থাকবে যে কারোর জন্য।’
ফরচুন বরিশালে একসাথে কাজ করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম। সুজন প্রধান কোচ। আর ফাহিম মেন্টর। অথচ গত নভেম্বরে এই দু’জন বিসিবির নির্বাচনে একই পদে প্রার্থী ছিলেন। বিপিএল দু’জনকে একই পথে নিয়ে এসেছে।
পাকিস্তান সুপার লিগের সাথে একই সময় মাঠে গড়াবে বিপিএল। তাই অনেকেই নাম লিখাতে পারেনি বিপিএলে। তা ছাড়া থাকছে না ডিআরএস, ভালো মানের বিদেশী আম্পায়ার, ধারাভাষ্যকার, দর্শক। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক ডিআরএস নিয়ে বলেন, ‘অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে অনেকগুলো জায়গায় সংগ্রাম করতে হয়েছে। ডিআরএস ম্যানেজ করতে পারিনি। ডিআরএসের টেকনেশিয়ানরা বিদেশে যেসব ভেনুতে খেলা হচ্ছে সেখান থেকে আসতে চাচ্ছে না।’
দর্শক নিয়ে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কোনো দর্শক অনুমোদন করব না। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারি। গ্যালারি যে একেবারেই শূন্য থাকবে সেটিও না। বিসিবির আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করতে পারবেন নির্দিষ্ট গ্যালারিতে। এ ছাড়াও যেদিন যে দলগুলোর ম্যাচ, সেদিন ওই দলগুলোর কিছু সমর্থককে মাঠে প্রবেশের টিকিট দেয়া হবে।’
ধারাভাষ্যকার ও আম্পায়ার প্রসঙ্গে মল্লিক বলেন, ‘কোভিডের কারণে এখানেও ছাড় দিতে হচ্ছে। স্থানীয়দের ওপরই ভরসা রাখতে হচ্ছে। পাকিস্তানের আম্পায়ার পাওয়া যাচ্ছে না। ইংল্যান্ড থেকে কেউ এখন ফ্লাই করতে চাচ্ছেন না। যদিও শ্রীলঙ্কা ও ভারতের সাথে আলাপ হচ্ছে।’


আরো সংবাদ



premium cement