পরিকল্পনা ছিল করোনার ঝুঁকি এড়াতে টার্ফে গাছের ছায়ায় ফুটবলারদের সাথে মতবিনিময় করা। তবে বৃষ্টি বাদ সাধে তাতে। ফলে বাফুফে ভবনের নিচতলার খোলা জায়গায় জাতীয় দল এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৩০ খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলেন ফেডারেশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এতে ফুটবলাররা যত দ্রুত সম্ভব ফুটবলকে মাঠে গড়ানোর আবেদন জানান। সাথে ক্লাবদের সাথে আলোচনা করে ফুটবলাররা তাদের বকেয়া পাওনার আদায় এবং জুনিয়র ডিভিশনের খেলোয়াড়দের জন্য কিছু করার অনুরোধ জানান বাফুফেকে। তবে আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে জাতীয় দলের অক্টোবর-নভেম্বরের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। যেখানে চার ম্যাচের তিনটিই হোম। এই তিন হোমের দুই প্রতিপক্ষ কাছাকাছি শক্তির ভারত ও আফগানিস্তান। এখন এই দুই দলকে কাবু করার পরিকল্পনা করছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং দুই সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ ও তাবিথ আউয়ালকে এই টার্গেটের কথা জানান গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। ৮ অক্টোবর ম্যাচের আগে ফুটবলারদের ক্যাম্প হবে। হবে আইসোলেশন ক্যাম্পও। এই আইসোলেশন ক্যাম্প দু’টি রিসোর্টে করার ইচ্ছা বাফুফের। এমন তথ্য দেন তাবিথ আউয়াল।
ক্যাম্পে মোট ৫০ ফুটবলারকে ডাকা হবে। তাদের নিয়ে প্রথম দফা আইসোলেশন ক্যাম্প আগস্টের শুরুতেই ক্যাম্প শুরু হবে। বলেন ন্যাশনাল টিমস কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়াল। ‘আমরা ঈদের পরপরই আগস্টের ২ বা ৩ তারিখের দিকে ক্যাম্প শুরু করব। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে দুই তিনটি রিসোর্টে হবে ফুটবলারদের আইসোলেশন ক্যাম্প। সব কিছুই হবে এএফসির গাইড লাইন অনুযায়ী। এরপর যেকোনো দেশের জাতীয় দলের সাথে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা।’ এ কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ ফুটবলারদের অনুরোধ করেন, আগামী দুই সপ্তাহ যেন তারা সুস্থ থাকার ব্যাপারে সচেতন থাকেন। কারণ এর পরই তাদের ক্যাম্পে তোলা হবে। তিনি করোনার প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন শুরুতেই মনে করিয়ে দেন, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৮ অক্টোবরের ম্যাচটি ডু অর ডাই ম্যাচ। ফুটবলারদের উদ্দেশ্য তার উপদেশ, ক্যাম্পে উঠার আগেই তোমাদের ফিট থাকতে হবে। হেড কোচ জেমি ডে আসার আগেই ফিজিক্যাল ট্রেইনার আনা হবে।
গোলরক্ষক রানার মতে, গত আড়াই তিন বছর বাংলাদেশের ফুটবলের অনেক উন্নতি হয়েছে। এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো খেলেই হেরেছি। ড্র করেছি ভারতের সাথে। এখন হোমে এই দুই দলের বিপক্ষে জিততে চাই। তবে এ জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লিগ শুরু করতে হবে। জানান, বাসায় বসে করা ট্রেনিংয়ে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ফিটনেস আসে। এই গ্যাপ পূরণে মাঠে নামা জরুরি। তা ছাড়া জাতীয় দলের পারফরম্যান্স নির্ভর করে লিগের পারফরম্যান্সের ওপর।’ মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামের বক্তব্য, ‘ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে পারলে আমাদের অবস্থান ভালো হবে। এ জন্য মাঠে ফিরতে হবে।’ ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল পরামর্শ, করোনার এই দুঃসময় অন্যান্য দেশের মতো সামাজিক দূরত্ব মেনেই যেন খেলা শুরু করা হয়। আর তা যেন স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে।
খেলা শুরুর বিষয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, লিগ ও জাতীয় দলের খেলা শুরু করতে সরকারের অনুমতি নেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা