বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা টি-২০ দলে জায়গা করে নেয়া রুমানা আহমেদ হাতে পেয়েছেন স্বীকৃতির সার্টিফিকেট। আইসিসি তার জন্য উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে নজরকাড়া একটি ক্যাপও। গতকাল বিকেলে মিরপুরের অ্যাকাডেমি মাঠে সেই ক্যাপটি মাথায় তুলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বললেন, নিজেকে সেরা সেরা মনে হচ্ছে। খুবই ভালো লাগছে।
এই পুরস্কার ভবিষ্যতে আরো ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করবে বলে জানালেন তিনি, ‘আইসিসির এই স্বীকৃতি আমাকে আরো উজ্জীবিত করবে, সামনে ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত করবে। আমি সব সময় স্বপ্ন দেখি, আমার পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ দল অনেক এগিয়ে যাবে।’
আইসিসি ২০১৮ সালে বর্ষসেরার তালিকা প্রকাশ করে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর। অলরাউন্ডার হিসেবে রুমানা জায়গা পান সেরাদের একাদশে। সেই আনন্দ নতুন করে জাগরুক হয়েছে আইসিসির সদর দফতর দুবাই থেকে সার্টিফিকেট আর ক্যাপ আসার পর। গাড় ও হালকা নীলের সমন্বয়ে তৈরি ক্যাপটির সম্মুখ ভাগে ইংরেজিতে লেখা ‘আইসিসি টি-২০ টিম অব দ্য ইয়ার’।
বাংলাদেশ মহিলা দলের জার্সি গায়ে ২৪ ম্যাচ খেলেছেন লেগ স্পিনার রুমানা। মাত্র ৪.৭৮ ইকোনমি রেটে এখনো পর্যন্ত নিয়েছেন ৩০টি উইকেট। ২০১৮ সালে প্রমীলাদের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন রুমানা। একটি ম্যাচে অবিশ্বাস্য বোলিং করে দুই রানে নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট।
ওয়েস্টইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছিলেন রুমানা। যদিও সেখানে নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন না তিনি। চার ম্যাচে মাঠে নেমে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। তবে গত বছরের পারফরম্যান্সটা ছিল ঈর্ষণীয়। বল হাতে অসাধারণ একটা বছর কাটিয়েছেন এই মহিলা ক্রিকেটার। গতকাল সেই ফর্মের স্বীকৃতি পেলেন রুমানা আহমেদ।
তবে আনন্দের মধ্যেও শঙ্কার মেঘ রুমানার মনে। কেননা নতুন উচ্চতায় ওঠার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পথ খোলা নেই এ ক্রিকেটারের সামনে। নতুন বছরের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়ে গেলেও কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। অথচ গত বছর এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব, বিশ্বকাপ, দ্বিপক্ষীয় সিরিজ মিলে ২৪টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছিল টিম টাইগ্রেস। পর্যাপ্ত ম্যাচ পাওয়াতেই সেরাদের কাতারে থাকতে পেরেছেন বাংলাদেশের কেউ।
শুধু বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পুরস্কার নয়, দেশেও একটা পুরস্কারে ধন্য রুমানা। গত শনিবার ‘অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা’ পেয়েছেন তিনি। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতি পেয়ে এই স্পিনার দারুণ খুশি, ‘সেরা দশ নারীর একজন আমি। এটা অবশ্যই অনেক বড় প্রাপ্তি। এই অর্জন ভবিষ্যতে প্রতিটি পদক্ষেপে আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা