২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


সীতাকুণ্ডে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে টমেটো

- ছবি : নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে টমেটোর মূল্য না পাওয়াতে ক্ষেতের টমেটো ক্ষেতেই ফেলে রাখছেন কৃষকরা। লাখ টাকা খরচ করে লাভের আশায় টমেটো চাষ করে বাজারে বিক্রি না হওয়াতে কৃষকরা এখন হতাশায় ভুগছেন। এখানকার টকটকে লাল ক্ষেতের টমেটোগুলো ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। রমজানে ৩০ থেকে ৪০ দরে টমেটো বিক্রি হয়েছে, এখন টমেটো কাউকে বিনা মূল্যে দিলেও নিচ্ছে না। সীতাকুণ্ড বাজার ও জমিগুলোতে এমনটাই দেখা গেছে।

সরজিমনে উপজেলার মুরাদপুর গুলিয়াখালী, বাড়বকুণ্ড শুকলাল হাট, ছোট দারোগারহাট, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন করে দেখা গেছে, গাছগুলো মরে কাঠ হয়ে গেলেও টকটকে লাল টমেটো থোকায় থোকায় দোল খাচ্ছে। দাম না পাওয়াতে এগুলো তুলে বাজারজাত করার কোনো আগ্রহ নেই কৃষকের। তাই জমিতেই নষ্ট হচ্ছে শত শত মণ টমেটো। অনেকেই আবার বদলা নিয়ে টাকা খরচ করে টমেটোসহ গাছগুলো ফেলে দিয়ে অন্য ফসল লাগানো জন্য জমি প্রস্তুত করছেন।

গুলিয়াখালীর কৃষক সবির উদ্দিন জানান, যারাই টমেটো উত্তোলন করে বাজারজাত করেছেন তারা পাঁচ টাকারও কম কেজি ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে মিলছে না উত্তোলন খরচও।

সীতাকুণ্ড পৌর সদরের কৃষক আরব আলী জানান, পড়াশোনা শেষে উদ্যোক্তা হওয়ার আশায় গ্রামে এসে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে চার বিঘা জমিতে টমেটোর চাষ করেছেন তিনি। ফলনও হয়েছে বাম্পার। কিন্তু বাজারে আশানুরূপ দাম না থাকায় জমিতে তার সব টমেটো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘টমেটোর ভালো ফলন দেখে আশা করছিলাম খরচ বাদে এবার দেড় থেকে দুই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করব। কিন্তু ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজির টমেটো এখনো ৫ টাকায় ও কিনছেন না ক্রেতারা। লাভ তো দূরের কথা, খরচের টাকাও উঠবে না।

কুমিরা এলাকার হারুন, বেলাল, আনু মেম্বারসহ কয়েকজন কৃষক জানান, তাদের আবাদকৃত টমেটো বেশি দিন মজুদ রাখতে এ এলাকায় সরকারি কোল্ডস্টোর স্থাপনসহ সরকারি ঋণ ও সার বীজ সুবিধা দেয়া না হলে আগামীতে আর তারা টমেটো চাষ করবেন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘এ বছর সীতাকুণ্ডে ৫৯০ হেক্টর জমিতে ৪৫০০ জন কৃষক টমেটো চাষ করেছেন। এখান থেকে ১৫ হাজার টন টমেটো উৎপাদন হয়েছে। এখন প্রচুর টমেটো উঠছে। ফলে দাম একেবারেই কমে গেছে। কিন্তু কৃষকরা দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন।’


আরো সংবাদ



premium cement

সকল