০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এশিয়ান গেমসের আজ উদ্বোধন

-

জাকার্তার জিবিকে মেইন স্টেডিয়ামে আজ পর্দা উঠবে ১৮তম এশিয়ান গেমসের। ইন্দোনেশিয়া চাচ্ছে বৃহৎ একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সারা বিশ্বের সমীহ আদায় করে নেয়া। ছোট দেশ হিসেবে তারাও যে বড় আয়োজন করতে পারে সেটি দেখিয়ে দেয়া। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রাইসা, টুলাস, অ্যাডো কান্ডোলজিট, পুতারি আইড, ফাতিন, জিএসির সাক্ষাতে হবে চমৎকার একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে পাদটিকা হিসেবে ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে, ৩০ মিটার প্রস্থ এবং ২৬ মিটার উচ্চতার একটি উজ্জ্বল পর্বত প্রদর্শন করবে। যেখানে থাকবে ইন্দোনেশিয়ার সুন্দর, অনন্য গাছপালা এবং ফুলের সংমিশ্রণ। এই পর্যায়ে বান্ডুং এবং জাকার্তা থেকে সংগৃহীত ম্যানুয়ালি ৪,০০০ নৃত্যশিল্পীদের অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীত পরিবেশন করবেন শীর্ষস্থানীয় সঙ্গীতশিল্পী ডেনি মালিক এবং ইকো সুপ্রিটো। এই একটি অনুষ্ঠানের জন্য কয়েক মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এসব নৃত্যশিল্পী, শত শত সঙ্গীতশিল্পী ও অকেস্ট্রাদল।
এয়ারপোর্ট থেকে গেলোরা বাং কার্নো (জিবিকে) মেইন স্টেডিয়ামে যেতে চোখে পড়ে নজরকাড়া সব ফেস্টুন ও বিলবোর্ড। আর জাকার্তা শহরে ঢুকতেই সুউচ্চ অফিস ভবনগুলোর চূড়ায় শোভা পাচ্ছে এশিয়ান গেমসের নানা রঙের মেগা সাইন। যেটি চোখে পড়ে ছয়-সাত কিলোমিটার দূর থেকেও। প্রচারে কোনো কমতি রাখেনি তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়া। বরং প্রচারে তারা ছাড়িয়ে গেছে গত ইনচন এশিয়ান গেমসকেও। যদিও সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে এগিয়ে কোরিয়া। তারা যতটা সাপোর্ট দিতে পেরেছে অতিথি অ্যাথলেট, কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের। সেটি কাটিয়ে পেরে ওঠেনি সুকার্নের উত্তরসুরিরা।
১৯৬২ সালের ১৪ আগস্ট চতুর্থ এশিয়ান গেমসের আয়োজক ছিল ইন্দোনেশিয়া। ৫৬ বছর পর ফের আয়োজক হয়েছে এই দেশটি। সে কারণেই এই গেমসের প্রস্তুতিতে দিনরাত এক করে দিচ্ছে জাকার্তা ও পালেম্বাংয়ের একগাদা তরুণ-তরুণী। যারা নিজেদের দেশে প্রথম আয়োজন দেখেননি তারাই মূলত আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বিনা পারিশ্রমিকে এশিয়ান গেমসের ভলন্টিয়ারের কাজ করে। তারা চান ইন্দোনেশিয়াকে বিশ্বের কাছে সৌহার্দ্যপূর্ণ হিসেবে উপস্থাপন করা। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবছেন না মোটেও। বিশ্ববিদ্যালয়পড়–য়া কয়েকজন তরুণ-তরুণী এক্ষেত্রে গুরু মানছেন ফ্রান্সের এমবাপ্পেকে। তিনি বলেছিলেন দেশের জন্য খেলি, টাকা নেবো কেন। এখানে আমরা বলছি দেশকে পরিচিতি করাতে টাকা নেবো কেন।
এবারের এশিয়ান গেমসের থিম হলো এনার্জি অব এশিয়া। এশিয়ান গেমস অর্গানাইজার আইএনএএসজিওসির চেয়ারম্যান এরিক থোহির ইন্দোনেশিয়ায় ১৬০০০ অ্যাথলেট, অফিসিয়ালের অংশগ্রহণ আশা করেছেন। তিনি আরো বলেন, এশিয়ান গেমসে ৪৫টি দেশের অংশগ্রহণ জনপ্রিয়তাই বহিঃপ্রকাশ। যদিও ২০১০ সালে গুয়াংজুতে ৪২টি ইভেন্টে ৯৫০১ জন্য এবং ২০১৪ ইনচনে একই ধারাবাহিকতা ছিল।
৫:০০ প্রি শো, ৭:০০ বিভিন্ন জনের বক্তব্য, ৭:৪৫ অ্যাথলেটদের প্যারেড, ৮:৩০ প্রটোকল, ৮:৪৫ উদ্বোধনী শো, ১০:০০ সমাপনী।


আরো সংবাদ



premium cement