২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আগডুম বাগডুম : কবিতা

-

গল্প ওয়ালা
রিয়াজ মাহমুদ রাতুল

আমি যে এক গল্প ওয়ালা গল্প বেচি-কিনি
গল্পগুলো মিষ্টি বরং নেই যে তাতে চিনি!
গল্প আছে বুড়া-বুড়ির গল্প আছে শিশুর,
অল্প দামেই গল্প বেচি গল্প আছে মিশুর।

গল্প আছে খেঁকশিয়ালের গল্প আছে গাছের,
গল্প আছে নীলতিমি ও টেংরা-পুঁটি মাছের!
রাজা-রানীর গল্প আছে, গল্প আছে পরীর
গল্প আছে টিকটিকি ও একটা দেয়াল ঘড়ির।

চাঁদের বুড়ির গল্প আছে শুনতে লাগে বেশ,
গল্পগুলোর শেষে আমি দেই যে উপদেশ।
গল্প যদি লাগে তোমার আমার কাছে এসো,
গল্প পড়ে মজাচ্ছলে ইচ্ছে মতোন হেসো।

আমার কাছে গল্প আছে ঠাকুরমায়ের ঝুলির,
গল্প আছে মামার বাড়ির পিঠা এবং পুলির।
গল্প আছে টুনটুনি ও দুষ্টু ছেলের দলের-
গল্প আছে মধু মাসের রসে ভরা ফলের।

প্রজাপতি-ফড়িং ছানার গল্প আছে শত,
শুনবে যদি আসো তবে গল্প অবিরত।
সময় আমার কাটে শুধু গল্প বলে বলে-
আমিও যে যোগ দিয়েছি দুষ্টু ছেলের দলে।

 


কবি নজরুল
আনোয়ার আল ফারুক

এক যে ছিল দুখু মিয়া
তুলতো বাঁশির সুর,
ভাবুক মনে ঘুরতো সদায়
সুদূর অচিনপুর।

এই ছেলেটার ছিল যে এক
স্বপ্নভরা দিল,
এই ভুবনে যায় পাওয়া কী
এমন কারো মিল?

পড়া লেখায় বসতো না যার
একটুখানি মন,
আপন মনে ঘুরতো সদায়
তেপান্তরের বন।

লিখতো সদায় কাব্য ছড়া
গাইতো সাম্যের গান,
দেশ জাতিতে ছিল যে তাঁর
কী যে ভীষণ টান।

বাংলা কাব্যে যায় কী পাওয়া
এমন ছেলের তুল?
সেই ছেলেটা আর কেউ নয়
প্রিয়তম নজরুল।

 


বিদ্রোহী নজরুল
কাব্য কবির

একটি ছেলে জন্মেছিল চুরুলিয়া গাঁয়ে,
আদর, সোহাগ করত বেশি ছোটবেলা মায়ে।
ছয় বছরে বাবা হারায়, আট বছরে মাকে
সেই সে থেকে সবাই তাকে দুখু মিয়া ডাকে।

কচিকাঁচার জন্য লিখত মিষ্টি-মধুর ছড়া,
খোকাখুকি যতই পড়বে দেখবে রসে ভরা।
বিশ্বখ্যাত বিদ্রোহী তার অমর কাব্য খান,
সকল সময় থাকতো মুখে কবিতা ও গান।

বিষের বাঁশি বাজাত তার অসীম সাহস বুকে
অন্যায় দেখে সবার আগে দাঁড়াত সে রুখে।
অত্যাচারের দেয়াল ভেঙে ফুটাত সে ফুল,
সে যে আমার প্রিয় কবি বিদ্রোহী নজরুল।

 


টুপটুপ বৃষ্টি
মুহাম্মাদ শেখ মূসা

টুপটুপ বৃষ্টি
অপরূপ সৃষ্টি,
মায়াময় ভালোবাসা
ভরে দেয় দৃষ্টি।

মেঘে মেঘে ঘর্ষণ
পরপর গর্জন,
থেমে থেমে শুরু হয়
অবারিত বর্ষণ।

চারিদিকে মুগ্ধতা
মনে ভরে শুদ্ধতা,
সতেজতা এনে দেয়
দূর হয়ক্রুদ্ধতা।

 

কর্মগুণ
আল আমিন মুহাম্মাদ

ফুল ভালোবাসি, তার সুবাসের তরে;
সকলের মন খুশি পাখি গান করে।

নদী ভালোবাসি, তার বুক ভরা জল;
গাছ ভালোবাসি, সেতো দেয় মিঠে ফল।

চাঁদ ভালোবাসি, সে যে আলো দেয় রাতে,
ভালোবাসি তারাদের জ্বলে তার সাথে।

দাবদাহে বায়ু দেয় প্রশান্তি প্রাণে;
মেঘ ভালোবাসি, তার বৃষ্টির দানে।
পাহাড়কে ভালোবাসি নির্ঝর ঝরে,
ফসলের হাসি দিয়ে মাঠে মন ভরে।

মানুষের প্রতি প্রেম কর্মের গুণে,
নিজকে সাজাব তাই খুব বুঝে-শুনে।


আরো সংবাদ



premium cement