০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মন থেকে যায় গাঁয়ে

-

অপরূপ সবুজের গ্রাম। এ তো খোদাতায়ালার অপূর্ব এক নেয়ামত। যেখানে ভোরে পাখিদের সমাবেশ হয়। শালিক ঘুঘুর কলতানে যেখানে জীবনের নতুন এক জগৎ দোলা দিয়ে যায় মনে। আথাল ভরা গরু, খড়ের স্তূপ, আর হেঁটে চলা ক্ষেতের আইল ধরে ভেড়ার বাচ্চাদের পালে আমার চোখ তো আটকে থাকে অবুঝ বালকের মতো। আদিগন্ত ফসলের মাঠ আর তার উপরে উড়ে যাওয়া পায়রার ঝাঁক, এত মনিহার বাংলার গাঁয়ের, এত আবেদন তার, যেন আসমানি কোনো জাদুঘরের স্কেচে আঁকা চিত্র চোখের সামনে কেউ ধরে রাখেন। মেঠো রাস্তার কোলঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা আদিম খড়ের ঘর, একি কোনো প্রাচীন সভ্যতার বিশেষ নির্মাণশৈলী! দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি সুপারির গাছগুলো কোথায় পেল এমন দৃঢ়চেতা মনোবল? কুলকুল ধ্বনিতে বয়ে চলা শাখা নদী, তার তরঙ্গের সুরারোপ কে দিয়েছেন? মাঠের মাঝে চরতে চরতে গরুর বাছুরের হাম্বা হাম্বা ধ্বনিতে কী মায়া আর কী যে আকুলতা। এমন আকুল কণ্ঠে বাছুর কি তার মাকে ডাকে? আহা মা। গোরস্থানের দাঁড়িয়ে থাকা বাঁশের ঝাড়ে এখনও তো ভয় জুড়ে আছে। বাড়ির উঠান পেরিয়ে পুশকুনি, সেখানে নিবাস- কই বোয়াল আর নানাবিধ কত মাছের। সে মাছ দিয়ে রান্না মায়ের হাতের কত ব্যঞ্জনা। আউশ ধানের ধোঁয়া ওঠা ভাত আর কুমড়ার শাকের ব্যঞ্জনা, আহা আমার গাঁ। আহা বাংলার গাঁ।


আরো সংবাদ



premium cement