২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাজশাহীতে চলমান ‘লকডাউন’ আরো ৭ দিন বাড়লো

- ছবি নয়া দিগন্ত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজশাহীতে ‘বিশেষ লকডাউনের’ মেয়াদ তৃতীয় দফায় আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো: আব্দুল জলিল এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান। রাজশাহীতে ১১ জুন থেকে চলমান কঠোর লকডাউন এবার ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

এর আগে গত ১৬ জুন রাতে রাজশাহী সার্কিট হাউসে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় দ্বিতীয় দফায় আরো এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় দফার লকডাউন শেষ হবে ২৪ জুন মধ্য রাতে। এর পর থেকে তৃতীয় দফায় আরো এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলবে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।

জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, এবারের লকডাউনে রাজশাহী মহানগরীর সাথে কোনো উপজেলার যোগাযোগ থাকবে না। কেউ উপজেলা থেকে মহানগরীতে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার মহানগরী থেকে কেউ উপজেলা পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারবে না।

এর আগে গত ১০ জুন রাতে রাজশাহী সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠক থেকে প্রথম দফায় ১১ জুন বিকেল ৫টা থেকে রাজশাহী মহানগরীতৈ বিশেষ লকডাউনের আদলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন।

বিশেষ লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, রাজশাহীতে কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারো সংক্রমণের হার বেড়েছে। আর মৃত্যুও কমছে না। এ কারণে লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে প্রথমে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তারপর গত ২ জুন আরো দু’ঘণ্টা এগিয়ে বিকেল ৫টা থেকেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এই কয় দিন আমরা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। গত ১১ জুন বিকেল ৫টা থেকে ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীতে প্রথম দফায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ কমার হার এখনো সন্তোষজনক নয়। এ কারণে বিশেষ লকডাউনের মেয়াদ তৃতীয় দফায় আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হলো। মহানগরীর বাইরে পুরো জেলাও কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে। উপজেলার সাথেও রাজশাহী মহানগরীর সব রকম যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, লকডাউনে দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁসহ আশপাশের কোনো জেলা থেকে যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না, রাজশাহী থেকেও কোনো যানবাহন জেলার বাইরে যেতে পারবে না। রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ সব দূরপাল্লার রুটের যানবাহন ও ট্রেন চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে। তবে রোগী, খাদ্য, ওষুধ ও পণ্যবাহী পরিবহন, সংবাদমাধ্যম এবং লাশ দাফন ও সৎকার কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ সব জরুরি সেবাদানকারীর ক্ষেত্রে জারিকৃত এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। আমের বাজারগুলো বড় পরিসরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হকসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement