বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার নাইকো মামলার শুনানি শেষে বের হয়ে এসে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বেলা পৌণে ১২টার দিকে তিনি জানান, অসুস্থতার কারণে নাইকো মামলার শুনানিতে খালেদা জিয়াকে উপস্থিত করা যায়নি। কাস্টডি ওয়ারেন্টে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানানো হয়েছে। তাই চিকিৎসার জন্য কিছুক্ষণের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পাঠানো হবে। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি এও জানান যে, নাইকো মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষ সময় প্রার্থনা করেছে। আদালত শুনানি শেষে আগামী ১০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। আমরা আশা করি খালেদা জিয়া এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে গত বছরের ৮ এপ্রিল থেকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দী আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কারাবন্দি খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তারা খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে আগ্রহী নয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তবে সরকার তাকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসার দেয়ার বিষয়ে বারবার বলে আসছে।
আরো পড়ুন :
খালেদা জিয়া হাঁটতে পারছেন না : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ২৭ মার্চ ২০১৯
সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আজ বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বেগম জিয়া কারাগারে এখন এতোটাই অসুস্থ যে তিনি এখন তার কক্ষেও হাঁটতে পারছেন না, অন্যের সাহায্য নিতে হচ্ছে। তিনি মাথা সোজা করতে পারছেন না, পা বাঁকা করতে পারছেন না। তারপরও এই জনপ্রিয় নেত্রীকে কোনো রকমের সুকিচিৎসা দেয়া হচ্ছে না। তাকে সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়। এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রী বেগম খারেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশও মানা হচ্ছে না। গত সাড়ে তিন মাসে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়নি।
অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে পছন্দ মতো হাসপাতালে চিকিৎসার জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় বেগম জিয়ার কিছু হলে সমস্ত দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একক বন্দি হিসেবে আছেন খালেদা জিয়া। তার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি।