২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুদ্ধের মাঠ থেকে কঠোর বার্তা ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

-

যুদ্ধের ময়দানে নেমে শত্রুবাহিনীকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমদ। দেশটির উত্তরে তিগ্রাই অঞ্চলে বিদ্রোহী বাহিনীর বিরুদ্ধে সরকারি বাহিনীকে নেতৃত্ব দিতে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন তিনি। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বছরব্যাপী চলমান যুদ্ধে সম্মুখ সারিতে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়ে তিগ্রাই পৌঁছে প্রথম ভিডিও বার্তা দিয়েছেন ২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী আবি আহমদ। ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এর আগে গত বুধবার জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী আবি তার ডেপুটিকে নিয়মিত দায়িত্ব হস্তান্তর করে তিগ্রাইয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের নেতৃত্ব দিতে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছেছেন।
এর পর শুক্রবার প্রকাশিত এক ভিডিওতে সেনাপোশাকে সজ্জিত আবি আহমদকে সামরিক সদস্যদের সাথে হাঁটতে দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর মনোবল সুদৃঢ় রয়েছে দাবি করে রেকর্ড করা এক বিবৃতিতে আবি বলেন, ‘শত্রুকে কবর না দেয়া পর্যন্ত আমরা হাল ছাড়ব না।’ আবি আহমদ আরো বলেন, ‘আমরা যা দেখতে চাই, তা হলো এমন এক ইথিওপিয়া, যা আমাদের ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে; হয় ইথিওপিয়ার মানুষের জন্য, কিংবা ইথিওপিয়ার জন্য।’
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, দেশটির সামরিক বাহিনী কাসাগিতা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তিগ্রাইয়ের পাশের আফার অঞ্চলের চিফরা ডিস্ট্রিক্ট এবং বুরকা শহর পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আবি আহমদ বলেন, ‘শত্রুপক্ষ আমাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অবস্থানে নেই, আমরা জিতব।’ ইথিওপিয়া সরকার সম্প্রতি যুদ্ধবিষয়ক খবরাখবর গণমাধ্যমে প্রকাশ সীমিত করতে একটি নতুন আদেশ জারি করে। ওই আদেশে ‘সামরিক-সংক্রান্ত আন্দোলন, লড়াইয়ের ফলাফল ও পরিস্থিতি’ সম্পর্কে নন-অফিসিয়াল কোনো তথ্য প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিগ্রাই অঞ্চল থেকে ক্ষমতাসীন দল তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টকে (টিপিএলএফ) সরিয়ে দিতে ২০২০ সালের নভেম্বরে সেখানে সেনা পাঠান আবি আহমদ। তার পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে লড়াই তীব্র হয়েছে। আবি আহমদ ক্ষমতায় আসেন ২০১৮ সালে। তার আগে প্রায় তিন দশক কেন্দ্রীয় সরকারে আধিপত্য বিস্তার করে ছিল টিপিএলএফ। ২০২০ সালে সেনা পাঠিয়ে দ্রুততার সাথে তিগ্রাই অঞ্চলের রাজধানী মেকেলে দখল করে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
কিন্তু এর পরের জুনের মধ্যে তিগ্রাই বাহিনী তাদের বেশির ভাগ অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। সেখান থেকে পাশের আমহারা এবং আফার অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয়। এ থেকে যুদ্ধ ভয়াবহ থেকে আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে অবর্ণনীয় এক মানবিক সঙ্কট।
জাতিসঙ্ঘের খাদ্যবিষয়ক কর্মসূচি ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) শুক্রবার বলেছে, দেশটির উত্তরে খাদ্যের প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৯০ লাখ। হাজার হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে। তিগ্রাই, আমহারা এবং ও অঞ্চলে উপায়হীন মানুষের কাছে জরুরি সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে সাহায্যকর্মীরা।


আরো সংবাদ



premium cement
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’ সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলে কারাগারে ‘অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না’ রাজশাহীতে হলে ঢুকতে না দেয়ায় রাস্তায় বিসিএস পরীক্ষার্থীর কান্না

সকল