০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইরানের হাত থেকে সৌদিকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি বাইডেনের

ক্ষমতায় আসার পর বাদশাহ সালমানকে প্রথম ফোন
-

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন জো বাইডেন। এসময় ইরানি হুমকির হাত থেকে সৌদি আরবকে সুরক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ (সৌদি প্রেস এজেন্সি) জানিয়েছে, বাইডেন এবং বাদশাহ সালমান দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। ফোনালাপের সময় গত মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানান সৌদি বাদশাহ। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে, বিশেষ করে ইরানের ‘হুমকি’ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করায় গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।
এসপিএ বলেছে, সৌদি আরবকে যেকোনো হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান। তিনি (বাইডেন) নিশ্চয়তা দিয়েছেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে দেয়া হবে না। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথম ফোনালাপে ইয়েমেন যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা।
এ ছাড়া, সৌদিতে সম্প্রতি লুজাইন আল-হাছলুলসহ অন্য মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তি দেয়াকে ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেছেন বাইডেন। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন তিনি। হোয়াইট হাউজের বিবৃতি অনুসারে, জো বাইডেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যতটা সম্ভব মজবুত ও স্বচ্ছ করতে যা যা প্রয়োজন, তার সব করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাদশাহ সালমানকে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অভূতপূর্ব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সৌদি আরবের। বিশেষ করে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বা এমবিএসের ছিল মারাত্মক সুসময়! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়েছিলেন এবং ইয়েমেন যুদ্ধে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে ব্যাপক স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। তবে বাইডেন প্রশাসন সৌদি ইস্যুতে ট্রাম্পের সেই নীতি থেকে সরে আসছে। ইয়েমেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সৌদিকে আর সমর্থন দেবে না বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে। হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ইয়েন সাকি সম্প্রতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করতে চান।
ট্রাম্প তার মেয়ের জামাতা জ্যারেড কুশনারের মাধ্যমে যুবরাজ সালমানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তবে বাইডেন সৌদি ইস্যুতে যুবরাজ নয়, সরাসরি বাদশাহ সালমানের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।


আরো সংবাদ



premium cement