০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিচারের মুখোমুখি সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট

-

সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার শুরু হওয়ায় খার্তুম আদালতে হাজির করা হয়েছে। যিনি ৩০ বছর ধরে এই দেশ শাসন করেছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই নেতার বিরুদ্ধে ‘বৈদেশিক মুদ্রা পাচার, দুর্নীতি এবং অবৈধভাবে উপহার গ্রহণ’ সম্পর্কিত অভিযোগের মুখোমুখি হন।
আল-বশিরের বিচার এমন সময়ে করা হচ্ছে যখন একটি সার্বভৌম পরিষদ গঠনের জন্য দেশটির জনগণ সংগ্রাম করছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর এটিই প্রথম পদক্ষেপ। শনিবার একটি চূড়ান্ত ক্ষমতা-ভাগাভাগির চুক্তিতে বিক্ষোভকারী নেতারা ও সামরিক বাহিনী স্বাক্ষর করেছে, যা বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারে পরিবর্তনের পথ সুগম করেছে। সেনাবাহিনী ঘোষণা দিয়েছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
১৯৮৯ সালের ৩০ জুন আল-বশির একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন এবং ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন ছিলেন। ক্ষমতা হারানোর পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাসায় একটি স্যুটকেস থেকে সাড়ে তিন লাখ ডলার, ছয় মিলিয়ন ইউরো ও পাঁচ বিলিয়ন সুদানিজ পাউন্ড উদ্ধার করে দেশটির নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। বাংলাদেশী টাকায় এর পরিমান প্রায় এগার শ’ কোটি টাকা।
৭৫ বছর বয়সী শাসক বশিরের পদত্যাগের দাবিতে সর্বস্তরের হাজার হাজার সুদানি চার মাস ধরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করার পরিপ্রেক্ষিতে তার পতন হয়। এর ফলে দীর্ঘ দিনের দুর্নীতি ও দমন-পীড়নের কারণে জনগণের বহু বছরের ক্ষোভের অবসান ঘটে। খাদ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভগুলো পরবর্তীতে রাজনৈতিক পরিবর্তন ও সরকারের পতনের দাবির দিকে মোড় নিয়েছিল।
প্রসিকিউটররা আল-বশিরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং বিক্ষোভকারীদের হত্যার আদেশ দেয়ার অভিযোগসহ অন্যান্য অপরাধমূলক তদন্তও শুরু করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থ সহায়তার জন্য আইনজীবীরা তাকে জেরা করতে চান। বিক্ষোভকারীদের হত্যার আদেশ দিয়ে চিঠি দেয়া এমন একটি অপরাধ যার জন্য সুদানের আইনে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তার বিরুদ্ধে অনেক বিক্ষোভকারীদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার বিচারের আগে পূর্ব আফ্রিকার জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক জোয়ান নিয়ান্যুকি এক বিবৃতিতে বলেছিলেন: ‘যদিও এই বিচার বশিরের বিরুদ্ধে ওঠা কিছু অপরাধের অভিযোগের জবাবদিহিতার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ, তবে তিনি সুদানের জনগণের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধের জন্য অভিযুক্ত হয়ে আছেন।’
ক্ষমতায় থাকাকালীন আল-বশির সুদানকে বিভিন্ন দ্বন্দ্বের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। দারফুরের নৃশংসতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তাকে দোষী সাব্যস্ত করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। ২০১১ সালে দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার আগে সংযুক্ত সুদানকে শাসনকারী শেষ ব্যক্তিও ছিলেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ধুনটে ট্রাকটরে পিষ্ট হয়ে শিশু নিহত আফগান মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে টিটিপি : ডিজি আইএসপিআর ইউরোপ যেতে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়াদের ১২ ভাগই বাংলাদেশী সব হজযাত্রীর ভিসা হবে, সঠিক সময়েও যাবে : ধর্মমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি এখনই বাতিল নয় : সুপ্রিম কোর্ট এক মাসে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ চট্টগ্রাম বিমান বন্দর : ৩ কোটি টাকার সৌদি রিয়াল ও ডলার উদ্ধার ‘পাকিস্তানে ৯ মের সহিংসতায় দায়বদ্ধতার স্থান থেকে তিন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বরখাস্ত করা হয়েছে’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ বুধবার গাজা-ইসরাইল ক্রসিংয়ে ইসরাইলি বাহিনীর উপর হামাসের হামলা তরুণ্যেই অর্ধশতাধিক ইসলামী সঙ্গীতের রচয়িতা

সকল