২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কূটনীতিকদের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রটোকল অনুসরনের আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন - ছবি : সংগৃহীত

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের মন্তব্যকে দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য হিসাবে আখ্যায়িত করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। তিনি প্রটোকল অনুসরন করে সরকারের কাছে মতামত জানানোর জন্য বিদেশী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গণমাধ্যমে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের কিছু বলার থাকলে কূটনৈতিক রীতি অনুসরন করে আমাদের বলতে পারতেন। যুক্তরাষ্ট্রে আমি বহুদিন ছিলাম। সেখানে কূটনীতিকদের কখনো জোট বেঁধে এ ধরনের আচরন করতে দেখিনি। তিনি বলেন, এটা কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। রাষ্ট্রদূতরা প্রটোকল না মেনে রাজনৈতিক মহড়ায় করছেন, প্রকাশ্যে বিবৃতি দিচ্ছেন। তারা কি এদেশে রাজনীতি করবেন? এ দেশে নির্বাচন করবেন?

‘দায়িত্বশীলতা না থাকলে স্বাধীনতাকে সম্মান করা যায় না’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশী কূটনীতিকরা করোনা মহামরীর কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের রফতানি আদেশ বাতিল বা প্রবাসী বাংলাদেশীদের কষ্ট সম্পর্কে কিছু বললে খুশি হতাম। আনন্দিত হতাম যদি তারা জোট বেঁধে রাখাইনে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাতেন। কিন্তু সেটা না করে তারা যা করলেন তা হতাশাজনক। এটা মোটেই ভাল না।

গত বৃহষ্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা পৃথক পৃথক টুইটবার্তায় করোনা মহামারীর সময়ে বাক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা এবং সাংবাদিকদের ঠিকমতো কাজ করতে দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সম্প্রতি মানবাধিকার কর্মী, কার্টুনিস্ট ও ব্যবসায়ীসহ চারজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত বুধবার তাদেরসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতেরা টুইটে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।


আরো সংবাদ



premium cement