সেকেন্ডারি ধূমপায়ীদেরও ফুসফুস ক্যান্সার হয়
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ জুন ২০২৩, ০০:০০
সেকেন্ডারি স্মোকার বা যারা ধূমপায়ীর ছেড়ে দেয়া ধোঁয়া গ্রহণ করে অথবা গ্রহণ করতে বাধ্য হয় তাদেরও ফুসফুস ক্যান্সার হয়ে থাকে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ধূমপায়ীদের ছেড়ে দেয়া ধোঁয়ায় বিশ্বব্যাপী বছরে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ধূমপানের কারণে ধূমপায়ীদের ভেতরে সুপ্ত যক্ষ্মা জীবাণু সক্রিয় হয়ে যায়। ধূমপায়ীরা একটা সময় এসে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের শিকার হয়ে থাকে দেহে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বলে। ধূমপানের কুফল উল্লেখ করে অধূমপায়ী অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, ধূমপান ও তামাক সেবন মাদক সেবনের প্রবেশ পথ খুলে দেয়। এ ছাড়াও তামাক দেশের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
গতকাল ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে অধূমপায়ী অ্যাক্টিভিষ্টরা এভাবেই ধূমপানের নানা কুফল বর্ণনা করেন।
বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরে মানস এ সংক্রান্ত একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘মানস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। বক্তারা বলেন, তামাক পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ঝুঁকিতে ফেলে। তামাক চাষের জমিগুলো খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহারে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।
অধ্যাপক অরূপরতন চৌধুরী বলেন, তামাক চাষ বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং চাষের কারণে খাদ্যশস্য চাষের জমি কমে যাচ্ছে। যেসব জেলায় তামাক চাষ হয় সেখানে পুষ্টিকর খাদ্য সঙ্কট রয়েছে। পরিবেশ, প্রাণীকূলেও তামাক চাষের বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, এক একর জমিতে যে পরিমাণ তামাক উৎপন্ন হয় এটি শুকানোর জন্য প্রয়োজন প্রায় ৫ টন কাঠ। তামাক চাষ ও প্রক্রিয়াজাত করতে বনভূমি দেদার উজাড় হচ্ছে। দেশে ৩০ শতাংশ বন উজাড় হয় শুধুমাত্র তামাক পোড়াতে। তামাক চুল্লিতে প্রতি বছর ২৯ লাখ ৩২ হাজার গাছ পোড়ানো হয়। তামাক চাষে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রাসায়নিক জীববৈচিত্র্য, প্রাণীচক্রের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। তামাক চাষিদের মধ্যে প্রতি চারজনের একজন ‘গ্রীন টোব্যাকো সিকনেস’ বিষক্রিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা