০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হাসপাতালে বেশি বিল দাবি

৯৯৯-এ ফোন করে রক্ষা পেলেন অটোচালক

-

সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীকে ক্লিনিকে ভর্তি করেন অটোরিকশা চালক হারুনুর রশিদ (৪০)। রাতে নর্মাল ডেলিভারি হয় এবং একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন হারুনের স্ত্রী। কিন্তু সদ্যজাত সন্তান ও স্ত্রীকে বাসায় নিতে চাইলেই বাধে বিপত্তি। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ১৬ হাজার টাকার একটা বিল ধরিয়ে দেন তার হাতে। মাত্র এক রাতে একজন নরমাল ডেলিভারি রোগীর চিকিৎসাব্যয় ১৬ হাজার টাকা হয় কিভাবে? প্রশ্ন অটোচালকের। উপায় না দেখে তিনি ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে মাত্র তিন হাজার টাকায় মুক্তি পান হারুন।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, ভোর সাড়ে ৪টায় হারুনুর রশিদ নামে একজন কলার নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ার আল মক্কা ক্লিনিক থেকে ফোন করে জানান, তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। রোববার রাত ১১টার দিকে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে তিনি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেদিন রাতেই তার স্ত্রীর নর্মাল ডেলিভারি হয় এবং একটি কন্যাসন্তান জন্ম দান করেন। পরের দিন গতকাল সোমবার তিনি তার স্ত্রী-সন্তানকে বাসায় নিতে চাইলে প্রথমে তাকে ১৬ হাজার টাকা বিল দিতে বলা হয়। অনুনয়-বিনয় করার পর ৮ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি একদিন ক্লিনিকে অবস্থান ও নর্মাল ডেলিভারির জন্য এত টাকা বিল দাবি করার কারণ জানতে চান এবং এত টাকা পরিশোধে অসম্মতি জানান। পাশাপাশি তার সামর্থ্যরে কথা বলেন। তখন ক্লিনিক থেকে তাকে জানানো হয় বিল পরিশোধ না করলে তাকে তার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে যেতে দেয়া হবে না। শেষে তিনি কোনো উপায় না পেয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের পরামর্শে ৯৯৯-এ ফোন করেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এসআই আমিনুর ৯৯৯ কে ফোনে জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। কলার অটোচালক হারুনের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় ন্যূনতম বিল নেয়ার অনুরোধ জানান। পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তিন হাজার টাকা বিল নিয়ে হারুন এবং তার স্ত্রী-সন্তানকে ছাড়পত্র দেয়।


আরো সংবাদ



premium cement