২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বরগুনায় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ দু’জনের ১০ বছর কারাদণ্ড সন্তানের দায়িত্ব সরকারের

-

জেলার আমতলী উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে তার সন্তান জন্ম নেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দুই কিশোর ধর্ষককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত একই সাথে ধর্ষিতার সন্তানের ভরণ পোষণ সরকার বহন করবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের বিচারক ও জেলা জজ মো: হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের আবুল ভদ্দরের ছেলে মো: মিরাজ ও একই গ্রামের খোরশেদ চৌকিদারের ছেলে মো: সাইমুন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের স্কুলছাত্রীর মা ফাহিমা আক্তার ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট আমতলী থানায় অভিযোগ করেন, তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে চন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার মেয়েও তার সাথে থাকে। ওই আসামিরা তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি তার মেয়েকে নিয়ে তার বাবা আইয়ুব আলি সিকদারের বাড়িতে যান। ওই দিন সকাল ৯টায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আসামিরা তার নাবালিকা মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আসামিরা ভিকটিমকে ভয় দেখালে সে বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করেনি। এরপর আসামিরা ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১০ মার্চ ধর্ষণ করার সময় বাদি টের পান। এরই মধ্যে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে যায়। ওই বছর ২৬ জুলাই আমতলীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে বাদি জানতে পারেন তার মেয়ে ২৬ সপ্তাহের গর্ভবতী।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ধর্ষণের ফলে ভিকটিমের একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। তার নাম সাকিবা। বয়স দুই বছর। পিপি আরো বলেন, বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেছেন, সাকিবার বয়স ২১ বছর বা বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণ-পোষণ সরকার বহন করবে।
এদিকে আসামি মিরাজ বলেছে, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে।


আরো সংবাদ



premium cement