১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


রাফাতে ইসরাইলি হামলা আঞ্চলিক শান্তিকে ‘খুব কঠিন’ করে তুলবে : জার্মান চ্যান্সেলর

রাফাতে ইসরাইলি হামলা আঞ্চলিক শান্তিকে ‘খুব কঠিন’ করে তুলবে : জার্মান চ্যান্সেলর - ছবি : সংগৃহীত

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেছেন, রাফার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরাইলি হামলা আঞ্চলিক শান্তিকে ‘খুব কঠিন’ করে তুলবে।

রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহর সাথে আলোচনার পর ওলাফ শোলজ বলেছেন, রাফাতে ইসরাইলি হামলার ফলে যে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে তা আঞ্চলিক শান্তিকে ‘খুব কঠিন’ করে তুলবে।

জার্মান চ্যান্সেলর বলেছেন, ‘একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ আমাদের এই ধরনের স্থল আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম করবে।

এই ধরনের হামলা বন্ধ করার জন্য তিনি নেতানিয়াহুর উপর চাপ প্রয়োগ করতে প্রস্তুত কিনা জানতে চাইলে সোলজ বলেছিলেন যে- ‘এটি খুব স্পষ্ট যে- আমাদের সবকিছু করতে হবে যাতে পরিস্থিতি আগের চেয়ে খারাপ না হয়’।

শোলজ আরো বলেন, ইসরাইলের নিজেকে রক্ষা করার সম্পূর্ণ অধিকার আছে... একই সাথে, এটাও হতে পারে না যে- গাজার যারা রাফাহতে পালিয়ে গেছে তারা সেখানে যেকোনো সামরিক পদক্ষেপ ও অভিযানের দ্বারা সরাসরি হুমকির সম্মুখীন হবে।

এর আগে গতকাল জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সোলজ মধ্যপ্রাচ্যে দুই দিনের সফরের আগে ইসরাইলকে গাজায় বৃহত্তর আকারে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সফরের আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, এখনই বৃহত্তর পরিসরে গাজায় সাহায্য পৌঁছানো প্রয়োজন। এটি নিয়ে আমাকেও কথা বলতে হবে।

জার্মান চ্যান্সেলর দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরাইলের পরিকল্পিত আক্রমণ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যেখানে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

তিনি যোগ করেছেন, রাফাতে ব্যাপক আক্রমণের ফলে অনেক বেসামরিক হতাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা অবশ্যই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।

এদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় উপত্যকায় ৩১ হাজার ৫৫৩ জন নিহত হয়েছেন যা প্রতি ৭৩ জন বাসিন্দার মধ্যে একজনকে প্রতিনিধিত্ব করে। এছাড়া আরো ৭২ হাজার ৭৬০ জন আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্য বছরের মতো এবার রমজান যাপনের সুযোগ নেই। কারণ, শত শত মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নগর-ভবন চুরমার করা হয়েছে। তাই জীবন যাপনের অনুসঙ্গ সংকীর্ণ হয়ে এসেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, চলমান গাজা যুদ্ধে অন্তত ১২ হাজার ৩০০ শিশু মারা গেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement