ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুয়া বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকবে চীন। চীন বাংলাদেশ থেকে কৃষিজাত পণ্য আমদানি করবে। কৃষি খাতে ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করছে চীনা কোম্পানি। তারা এ দেশে ৩টি কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করবে। বাংলাদেশে চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানও চায় বেইজিং।
গতকাল মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আবদুর রাজ্জাকের সাথে তার দফতরে সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুয়া এসব কথা বলেন। এ সময় প্রতিনিধিদলে ছিলেন দূতাবাসের রাজনৈতিক শাখার পরিচালক মিস্টার জেং তিয়ানজোও এবং এটাসি মিস হু জিয়াং।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী চীন। চীন-বাংলাদেশে কৃষিপ্রধান দেশ, দুই দেশের শিল্প সংস্কৃতিতে একটা মিল রয়েছে। কৃষি শিল্পের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা সব সময় কাম্য। আন্তর্জাতিক, কৃষি, বিনিয়োগ ও শিল্প-বাণিজ্যে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের আরো উন্নয়ন চায় সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনের সাথে যে সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন; তা আরো টেকসই করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ। দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল, অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগসহ অনেক মেগা প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণ রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকারের দূরদর্শিতা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বৈশ্বিক দারিদ্র্য বিমোচনেও বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের সুযোগ কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। দেশটিতে শিল্পায়ন ও নগরায়নের প্রক্রিয়াও ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ স্বাস্থ্য শিক্ষাসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিরাপদে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সাথে মিয়ানমারে ফেরত যাবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বেইজিং বাংলাদেশের সাথে আছে। এ ছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নাশকতা দমনে চীন ও বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, অধিক ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ, যদিও এ বিষয় চীন অনেক এগিয়ে রয়েছে। কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমে জনগণের মানসম্মত খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হতে সব খাতে কাজ করছে সরকার। কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করতেও কাজ করছে সরকার।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলমান ধানের দাম নিয়ে সরকার বেশ গুরুত্বের সাথে কাজ করছে। কৃষক তার কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। কী কী পদক্ষেপ নিলে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কৃষকের মুখে হাসি ফোটানো যায়, এ ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এই মুহূর্তে চাল রফতানির কথা ভাবছে সরকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা