২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ

খালেদা জিয়াকে দূরে সরানোর চেষ্টা চলছে : রিজভী

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল : নয়া দিগন্ত -

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। তার চিকিৎসা নিয়ে সরকার অমানবিক ও ঘৃণ্য নজির স্থাপন করেছে। কিন্তু দেশের জনগণ কখনোই তা ক্ষমা করবে না। গতকাল রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে গতকাল বেলা ২টায় স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিল হয়। রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে সংগঠনের কয়েক শ’ নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারো সেখানে গিয়ে শেষ হয়। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সেøাগান দেন। মিছিল শেষে আরো বক্তৃতা করেন : স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলায় তাকে কারাবন্দী রেখেছেন। ভীষণ অসুস্থ বেগম জিয়াকে কারাগারে পোকা-মাকড়ে ভরা স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে রাখার পর তার অসুস্থতার মাত্রাকে তীব্রতর করা হয়। এখন জীবন বিপন্ন করার মাধ্যমে তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি নিঃসন্দেহে গভীর চক্রান্ত। ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর একটাই চিন্তা খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে না পারলে গদি রক্ষা হবে না। কিন্তু জনগণ প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন কোনো দিনই বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে তার পছন্দের হাসপাতালে সুচিকিৎসার সুযোগসহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, একদিকে বিএনপি খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রেখে এবং অন্য দিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে দেশকে আবার বাকশালের নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত করে একদলীয় শাসনের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জনসমর্থনশূন্য আওয়ামী সরকার।
আওয়ামী লীগের এক নেতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘৭২ থেকে ৭৫ সালে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাই মুজিবনগরে যাননি। কারণ মেহেরপুরে যে সরকার গঠিত হয়েছিল তার প্রধান ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ, সেই দিবসে বিশ^াস করলে তো আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকে না। আর এজন্যই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মেহেরপুরের মুজিবনগরে কোনোদিনও যাননি।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরো বলেন, দেশব্যাপী এখন নারী-শিশু হত্যা ও নির্যাতনের মাত্রা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। রক্ত ঝরিয়ে দেশ স্বাধীন করার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস মুছে ফেলে দেশের সার্বভৌমত্বকে জলাঞ্জলি দিয়ে বর্তমান নিষ্ঠুর সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে মিথ্যার বেসাতি করে জনগণের ওপর বাকশালী চেতনা চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা শুরু করেছে।
মিছিলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ইয়াসিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কেন্দ্রীয় নেতা সাদরেজ জামান, ফখরুল ইসলাম রবিন, কাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, নজরুল ইসলাম, রফিক হাওলাদার, হারুন অর রশীদ, আনু মো: শামীম, সরদার নূরুজ্জামান, ইউসুফ পাটোয়ারী, গোলাম মোর্শেদ রাসেল, মো: মোর্শেদ আলম, ডালিম, শাহে আলম, মোহা: আবু জাফর বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement