১৫ মে ২০২৪, ০১ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫
`


৩৪ বছরেও মুছেনি ভয়াল ২৯ এপ্রিলের দুঃসহ স্মৃতি

৩৪ বছরেও মুছেনি ভয়াল ২৯ এপ্রিলের দুঃসহ স্মৃতি - নয়া দিগন্ত

আজ সেই ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ৩৪ বছর আগে ১৯৯১ সালের এ দিনে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে স্মরণকালের ভয়াবহতম প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। যার ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যা এখানকার মানুষের হ্নদয় থেকে মুছে ফেলা'র মতো নয়।

এই প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে সরকারি হিসাবে দেড় লাখের মতো মানুষ প্রাণ হারায়। যদিও সাধারণ মানুষের ধারণা এতে প্রায় ৫ লাখ মানুষ মারা যায়।

সেই দিনের ভয়ঙ্কর তাণ্ডবে শুধু মানুষই নয়, লাখ লাখ গবাদী পশু, ফসল, বিপুল পরিমাণ স্থাপনা ও সম্পদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল মুহূতেই। আকস্মিক সেই ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলে পড়েছিল লাশের মিছিল। চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল লাশ আর লাশ। সেই সাথে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এ ধ্বংসলীলা দেখে কেঁপে উঠেছিল বিশ্ববিবেক। অনেকে চিরতরে হারিয়েছে স্বজন, সহায়-সম্বল ও আবাসস্থল। এখনো এ উপকূলের মানুষেরা তাদের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারেনি।

১৯৯১ সালের স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডবের শিকার হয় দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মহেশখালী, সন্দ্বীপ, ভোলা, ফেনী, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, বরিশালসহ ১৩টি জেলার ৭৪টি উপজেলার দেড় কোটিরও অধিক মানুষ। ওই দিন রাতে পূর্ণিমার ভরা জোয়ার থাকায় ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাত হয়ে উঠেছিল আরো ভয়ঙ্কর।

কক্সবাজারের চকরিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও সদর উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ অপূরণীয় ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি এখানকার অধিবাসীরা।

এদিকে উপকূলজুড়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ৩৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো সেই উপকূলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। বেড়িবাঁধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের মধ্যে আতঙ্কে বাস করছে উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণ। এখনো প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে বন্যার পানিতে ভাসতে হয়। তাছাড়া, জনসংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এখনো গড়ে তোলা হয়নি।

প্রতি বছর ২৯ এপিল স্মরণে কক্সবাজারে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। তারই মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement