ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর হামলার অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুন) অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড (খুলনা সার্কেল) -এর উপ-মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অভিযুক্ত সোহেল মাহমুদ অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাস ব্রাঞ্চে প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা কর্তৃক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মারধরের ঘটনা 'নয়া দিগন্তে' প্রকাশিত সংবাদে ব্যাংকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাংকের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় এটি অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা-২০০৮ -এর ৪১(গ), ৪১(ঘ) ও ৪১(ঙ) অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমতাবস্থায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা-২০০৮ -এর ৪৪ ধারা মোতাবেক অভিযুক্তকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। যা ৮ জুন হতে কার্যকর হবে। এছাড়া সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে অভিযুক্ত বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্ত হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ এবং ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. মোস্তাফিজুর রহমান উভয়েই কুষ্টিয়া হাউজিং ডি ব্লক এলাকার বাসিন্দা। বুধবার (৭ জুন) সকালে হাঁটতে বের হন ড. মোস্তাফিজ। এ সময় আবাসিক এলাকার হাউজিং ডি ব্লকের সামনে এলে তার উপর হামলা চালান ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল। এ সময় শিক্ষকের উপর উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন সোহেল। এতে ওই শিক্ষক মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে পরিবারসহ শহর ছাড়তে এবং অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেন ওই কর্মকর্তা। পরে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা হামলাকারী ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদের শাস্তি ও ব্যাংক থেকে অব্যাহতির দাবি জানান। এছাড়া হামলাকারী সোহেলের বিচার দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও জিয়া পরিষদ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা