২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চার দশক পেরিয়ে ৪১ তম বর্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

চার দশক পেরিয়ে ৪১ তম বর্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় - নয়া দিগন্ত

প্রতিষ্ঠার ৪ দশক পেরিয়ে ৪১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়টি। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে ৪০টি বছর অতিক্রম করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বর্তমানে দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যিালগুলোর মধ্যে অন্যতম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্তর, আবাসিক হল ও বিভিন্ন ভবনগুলো। শুক্রবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত পাঠের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এসময় বিশ্ববিদ্যলয়ের পতাকা উত্তোলন করেন প্রোভিসি অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান। পরে প্রশাসন ভবন চত্তরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশাসন ভবন চত্তর থেকে ৪১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে করে প্রশাসন ভবনের নিচে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় ৪১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এছাড়া প্রোভিসি অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বিশেষ অতিথি হিসেবে ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ বক্তব্য রাখেন।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সংমিশ্রনে বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরীর মহান ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলার সংযোগস্থল শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে তিনটি বিভাগে আটজন শিক্ষক ও ৩০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় পথচলা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ টি অনুষদের অধীনে ৩৪ টি বিভাগে রয়েছে ১৪হাজার ৪৫৪ জন শিক্ষার্থী ও ৪১২ জন শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘৪১ তম জন্মদিনে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গঠনের প্রত্যাশা ব্যাক্ত করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ একাডেমিক কারিকুলামের সংস্কার চলমান রয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement