০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্বা স্থ্য ত থ্য

ওজন কমাতে হাসুন

-

ওজন কমবে হাসিতে! কৗতুক নয়, বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন গবেষণা করেই এ তথ্য দিচ্ছেন। তারা বলছেন, নিয়মিত জিমে গিয়ে বা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করে যতটা ওজন কমানো সম্ভব ততটা না হলেও ১০-১৫ মিনিটের প্রকৃত হাসি একটি মাঝারি আকৃতির চকলেট-জাতীয় খাবারের সমপরিমাণ ক্যালোরি ধ্বংসে সক্ষম। আমেরিকার ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ৪৫ জোড়া বন্ধুবান্ধবের ওপর গবেষণা চালান। তাদের হাস্যরসাত্মক ও বিরক্তি উদ্রেককারী কয়েকটি চলচ্চিত্র দেখিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেন ও হাসির সাথে ওজনের সম্পর্ক পরিমাপ করেন। দেখা যায়, হাসির মুহূর্তে হাসিবিহীন মুহূর্তের চেয়ে ২০ শতাংশ ক্যালোরি বেশি পুড়েছে। গবেষক দলের প্রধান মাসিয়েজ বুচোওস্কি বলেন, দিনে ১০-১৫ মিনিটের হাসি ৫০ ক্যালোরি পর্যন্ত পোড়াতে সক্ষম। তবে তা শরীরের গঠন ও হাসির মাত্রার ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট হাসির মাধ্যমে বছরে প্রায় সাড়ে চার পাউন্ড বা দুই কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তবে তা জোর করে বা মুচকি হাসি হলে চলবে না, হতে হবে স্বতঃস্ফূর্ত। প্রাণখোলা হাসি।
ডায়াবেটিস নিরাময়ে লিভার কোষ
বিজ্ঞানীরা লিভার কোষকে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ব্যবহারের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন। তারা লিভারের কোষকে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষে রূপান্তরিত করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এই কোষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে যেমন ইনসুলিন উৎপাদক কোষ লাভ করা সম্ভব, তেমনি রোগীর সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগে রক্তে সুগারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নষ্ট হলে রোগীর জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। রক্তে সুগারের স্তর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয় প্রয়োজনীয় ইনসুলিন হরমোন উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পড়ে। লিভার কোষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ইনসুলিন হরমোনের সরবরাহ ঠিক রেখে রোগীকে ঝুঁকি থেকে বাঁচানো যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। ইসরাইলের সেবা মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকেরা ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে এ তথ্য পেয়েছেন। তবে এতে কিছু সমস্যাও রয়েছে, কোষ প্রতিস্থাপনের পর রোগীর দেহ সেটা ঠিকমতো গ্রহণ করবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। কোষ প্রতিস্থাপনের পর রোগীকে সারা জীবন হাইপাওয়ারের ওষুধ খেতে হবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত লিভার কোষ সরবরাহ না পাওয়াও সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement