২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মরক্কোর জাতীয় বীর ইয়াসিন বোনো

মরক্কোর জাতীয় বীর ইয়াসিন বোনো - ছবি : সংগৃহীত

ইয়াসিন বোনোকে জাতীয় বীরের মতোই দেখছেন মরক্কোবাসী। উচ্চতা ছয়ফুট চারইঞ্চি। এ লম্বা দেহটাও টাইব্রেকার ঠেকানোর জন্য যথার্থ- যদি বলের ঠিক দিকে শরীর ফেলা যায়। পরশুরাতে ইয়াসিন বোনোর বিশাল দেহটাই দারুণ কাজে লেগেছে মরক্কোর ফুটবলে ইতিহাস গড়তে।

স্পেনের বিপক্ষে কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। এ স্পট কিকে একটি গোলও করতে পারেনি ২০১০-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এর মধ্যে বোনোর কৃতিত্ব দু’টিতে। তিনি রুখে দেন সার্জিও বাসুকেত ও কার্লোস সোলের শট। প্রথমবার বামদিকে শরীর ফেলে । এরপর স্প্যানিশ অধিনায়ককে হতাশ করেন ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাবলো সারাবিয়ার শটের প্রথম শটের সময়ও বাম দিকে শুয়ে পড়েন দ্রুত গতিতে। তবে তার শট গিয়ে ঠেকে পোস্টে। বোনোর দুই টাইব্রেকার ঠেকানোর উপর ভর করেই ইতিহাস গড়লো ওয়ালিদ রেগরিগির দল।

প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপের শেষ আটে মরক্কো। ফলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও গেছে তার দখলে। স্পেনকে করেছেন সর্বনাশ। লুইস এনরিখের দল টানা দ্বিতীয় বারের মতো বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিলো। অথচ এই ইয়াসিন বোনোর ক্যারিয়ারে অধিকাংশ সময়ই কেটেছে স্প্যানিশ লিগে। লা লিগের দল সেভিয়ার গোলরক্ষক তিনি।

২০২০ সালে ওই ক্লাবে যোগ দেন এই কিপার। ২০১২ সালে মরক্কোর ক্লাব ওয়েদাদ কাসাব্লাঙ্কা ক্লাব থেকে যোগ দেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে। এমন বড় ক্লাবটিতে কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি। ফলে সে বছরই লোনে চলে যান রিয়াল জারাগোজায়। সেখান থেকে জিরো না হয়ে সেভিয়াতে। তার কৃতিত্বের ২০২০ সালের ইউরোপা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় সেভিয়া। ফাইনালে তাদের ৩-২ গোলে জয় ইন্টার মিলানের বিপক্ষে।

আফ্রিকান দেশগুলোতে ফরাসি ভাষার দাপট। মরক্কোতেই দ্বিতীয় ভাষা ফরাসি। তবে গত বছর ক্যামেরুনে অনুষ্ঠিত আফ্রিকান নেশনস কাপে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরবি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে খবরের শিরোনাম হন। রাশিয়া বিশ্বকাপে দলে থাকা বোনো কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে মাঠের বাইরে চলে যান। এরপর আর খেলতে পারেননি পেটের সমস্যায়। ওই বোনোই এখন মরোক্কানদের মধ্যমণি।


আরো সংবাদ



premium cement